আবো. ডেস্ক :
বিশ্বঅলি জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী(ক.)হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত ও গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত |
শাহানশাহ বাবাজানকে কেন বিশ্বঅলি বলা হয়ঃ
বিশ্বঅলি বা গাউসুল আলম এই শব্দ দুইটি প্রায় সমার্থক শব্দঃ বিশ্ব অলি হচ্ছে সারা বিশ্বে যে অলির ক্ষমতা থাকে তাকে বিশ্ব অলি বলে আর গাউসুল আলম অর্থ হচ্ছে দুনিয়ার সাহায্যদানকারী। বিশ্ব অলি হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র কর্মক্ষমতা/ প্রভাব সারা বিশ্বব্যাপী ছিলেন, বিশ্ব অলি হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত ।বিশ্ব অলির কর্মক্ষমতা বিশ্বব্যাপী , শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) বিশ্বঅলি ছিলেন তা গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ, শাহানশাহ বাবাজান ও অন্যন্যা অলি আল্লাহদের কালাম থেকেও বুঝা যায়ঃ
খাতেমুল অলদ ,গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)কালাম করেনঃ “জিয়াউল হককে আমি সবার জন্য বাতি/প্রদীপ/চেরাগ জালাচ্ছি” এখানে উনি শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রদীপ বলেনি , উনি বলেছেন সবার জন্য’ উল্লেখ্য যে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর এই কালাম দ্বারা বুঝা যাচ্ছে শাহানশাহ হক ভাণ্ডারী বিশ্বঅলি ছিলেন কারন নিচে দেওয়া হলঃ আল্লাহতায়লা সুর্যকে চেরাগ বা প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করেছেন, সুরা নুহে বলেনঃ সুর্যকে করেছেন জগতবাসীর জন্য চেরাগ, সুরা আযহাবে রাসুল (দঃ)কে আলোক উজ্জ্বলকারী প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করেছেন, আয়নায়েবারী কিতাবে বলেনঃ “সূর্য দুনিয়ার চেরাগ আর গাউসুল আজম আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)দ্বীনের” “সূর্য আকাশের প্রদীপ আর আমাদের হযরত গাউসিয়াতের ধারক আর্শ, আসমান, যমীন ও মহাকালের প্রদীপ” “গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর পবিত্র সত্তাতো আল্লাহর প্রদীপ। তাঁর হেদায়ত, প্রভুপরিচয়জ্ঞান ও দিকদর্শনের নুরে সমস্ত জগত আলোকিত হচ্ছে”।
আর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর সেই চেরাগটি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র মাধ্যমে সমস্ত জগতে সবার জন্য আলো জালাচ্ছেন , তাই শাহানশাহ বাবাজানকে বিশ্বঅলি বলে।
তাই গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) বলেছেনঃ “জিয়াউল হক আমিই” সংগ্রহঃ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র জীবনী শরিফ। অসিয়ে গাউসুল আযম মওলানা দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ) বলেনঃ “মানবতার সর্বোচ্চ স্তরে আমার বড় মিয়ার অবস্থান। তিনি বাবাজান কেবলার মসরবের অলি”
শাহানশাহ বাবাজান কালাম করেনঃ আমার দরবার আন্তর্জাতিক প্রশাসন অফিস, যেখান থেকে এই বিশ্ব পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত” “ আকাশের উপর বসে আমি আল্লাহর সাথে কথা বলি এবং নীচের দিকে জগতের কাজ কর্ম পরিদর্শন করি” “ রাহমাতুল্লিল আলামীন রাসূলের রহমতের সীমা জুড়ে আমার বেলায়তি কর্মক্ষমতা” “ এই বিশ্বের কোথায় কখন কি হয়েছে, হচ্ছে, হবে সব আমার জানা’
বাবাভাণ্ডারী (কঃ)’র খলিফা মওলানা আবদুল কুদ্দুস (রঃ) বলেনঃ “নিঃসন্দেহে তিনি (বিশ্বঅলি শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অলি”
প্রখ্যাত অলিআল্লাহ হাফেজ মাওলানা বজলুল রহমান (রঃ)’র খলিফা , আউলিয়ে কামেল মাওলানা সামশুদ্দিন আহমদ চাটগামী(রঃ) প্রকাশ বুড়া মৌলভী সাহেব বলেনঃ শাহানশাহ হক ভাণ্ডারী এমন এক উচ্চ মর্যদার অলি আল্লাহ , যার ইচ্ছার উপর যুগের অন্য কামেল অলিদের ভালমন্দ নির্ভরশীল। তার বেলায়তি দপ্তরের এমন ক্ষমতা যে, যে কোন চোরকেও তিনি মুহুর্তে আবদাল বানাতে পারেন” সংগ্রহঃ শাহানশাহ বাবাজান(কঃ)’র জীবনী শরিফ।
শাহানশাহ বাবাজানের জীবনীর অসংখ্য ঘটনা প্রবাহ উল্লেখিত বিষয়টি প্রমান করে, নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলঃ ২৩ মার্চ ১৯৮১ খৃঃ। বিশ্বঅলি শাহানশাহ মাইজভাণ্ডারী সেদিন চট্টগ্রাম শহরে আমার ( জনাব আবদুর রহমান)শ্বশুরের চৈতন্য গলিস্থ বাসায় ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি আমার দিকে চেয়ে জজবা হালে বলেন, ‘ প্রেসিডেন্ট রিগানের পেট আমি ফেটে ফেলবো। সে কি আমাকে চেনে ?
সপ্তাহের মধ্যে ঘটে গেল এক তোলপাড় কাণ্ড। ৩০ মার্চ জন হিংকলে নামক ৩০ বছরের এক যুবক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিগ্যানকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। পর পর নিক্ষিপ্ত রিভলবারের বারটি গুলিতে তিনি পেটে আঘাত পান। বিস্তারিত: শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)জীবনী শরীফ, ১১০ নং পৃষ্ঠায়।
মৌলানা নুরুল ইসলাম ফোরকানী সাহেব, পেশ ইমাম ছিলেন- মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ শাহী জামে মসজিদ, (সংগ্রহঃ জীবনী শরিফ)
বর্ণনা করেনঃ সুলতানুল হিন্দ গরীবে নেওয়াজ খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি আজমিরী (কঃ) সাহেবের রওজা মুবারিক জিয়ারত করলাম। বাইরে এসে দেখি একস্থানে কিছুলোক ভিড় করে কি যেন দেখছে। একজনকে ডেকে প্রশ্ন করলাম ওখানে লোকেরা কি দেখছে। লোকটা উত্তর দিল খাজাবাবা এখানে এসেছেন। আমিও দ্রুত ভিড়ের দিকে ছুটে গেলাম। একবার তাকে নয়নভরে দেখবো । জনম সার্থক হবে। ভিড় ঠেলে কাছে গিয়ে দেখলাম আজমিরের মহান সিংহাসনে বসে আছেন শাহানশাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) । আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, কবে এসেছেন? আমি আশ্চার্য হয়ে বলি, আপনি ? তিনি উওর দেন, আমি এখানেও থাকি” এই স্বপ্নের কথা তাঁকে জানাবার জন্য যখন গেলাম, আমাকে দেখেই তিনি বলে উঠেন “ হা, হা, আমি সবখানে” বিস্তারিত: শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)জীবনী শরীফ, ১০৭ নং পৃষ্ঠায়।
বর্ণকঃ শাহানশাহ বাবাজানের বড় বোন সৈয়দা মোবাশ্বরা বেগম ( সংগ্রহঃ শাহানশাহ বাবাজানের জীবনী শরীফ হতে)
আমার স্বামী মাস্টার সাহেবের মৃত্যুকালীন শেষ বিদায় কালে বলেন, “দেখো, এই বড় মিয়া এসেছেন। আমার পাশে বসেছেন”। একথা বলতে বলতে সেদিকে চেয়ে থেকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জনাব আলহাজ্ব আবুল বশর সাহেবের তৃতীয় ছেলে নাজিম উদ্দিন যখন মুখে ফেনা এসে নিঃশ্বাস সম্পূর্ণ বন্ধ, তখন ছেলেকে নিয়ে মাইজভাণ্ডার শরীফে হাজির হয়ে মাইজভাণ্ডার শাহী জামে মসজিদের খতিব মওলানা নুরুল ইসলাম ফোরকানী সাহেবকে ডেকে নিয়ে হুজরা শরীফের পূর্বের জানালায় দাঁড়ালাম এবং ফোরকানী সাহেব আরজি করেন। “ আপনি আল্লাহর শাহানশাহ অলি, মৃতকে জীবত করার ক্ষমতা আল্লাহতায়লা আপনাকে দিয়েছেন, বাবাজান আমরা এই ছেলের জীবন ভিক্ষা চাই’ সবাই কাঁদতে থাকি। আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি বিছানা হতে উঠে জানালার কাছে এসে রোগীর মাথায় একটুখানি স্পর্শ করে বলেন, ‘ বাইরে থেকে একটু বাতাস খেয়ে এসো” এই একটি মাত্র বাক্যে লাশের শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়। মাটিতে দাঁড় করালে আস্তে আস্তে সে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। দু’পাশ ধরে ধীরে ধীরে হাঁটিয়ে মসজিদের সামনে আনলে সে ডাব ও কলা চেয়ে খায়। উপস্থিত লোকের বিস্ময়ভরা জিজ্ঞাসা, “মরিয়া জাগল প্রাণ, এ কেমন কথা” সুস্থ শরীরে লেখাপড়া শেষ করে ফরিদ সৌদি আরবে ব্যবসা বাণিজ্য করে পরবর্তীকালে সুখী সংসার হয়।
এই ধরনের অসংখ্য ঘটনা প্রবাহ প্রমান করে যে শাহানশাহ বাবাজানের কাজকর্ম বিশ্বব্যাপি ছিল এবং সেই সময়কালের দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সাহয্যকারী বা বিশ্বঅলি ছিলেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here