নিজস্ব প্রতিবেদক
এবারে ঈদযাত্রা কিন্তু গতবারের মতো নয়। এবার আমাদের পায়ে হেটে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে না। এবার আমরা বিভিন্ন যানবাহনের সুযোগ নিতে পারছি। কিন্তু ঈদযাত্রায় খুব স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আসেনি। যে কঠিন লকডাউন ছিল এবং তারপরে যে এটা শিথিল করা হলো সে শিথিলতা কিন্তু লকডাউনের সাফল্য দেখে করা হয়নি। আসলে প্রতিদিন আমরা যেমন নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের হারাচ্ছি সেখানে যদি আমরা একটু সচেতন না হই, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আজকে থেকে সরকার যারা ৩০ ঊর্ধ্ব আছে তাদেরকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। টিকা আসছে পর্যাপ্তভাবে, মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করছেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আপনি সুস্থ থাকলে অবশ্যই টিকা নিতে পারবেন। এই সুস্থতা ও বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটি সদস্য, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, আসলে প্রতিদিন আমরা যেমন নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের হারাচ্ছি সেখানে যদি আমরা একটু সচেতন না হই তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আজকে থেকে সরকার যারা ৩০ ঊর্ধ্ব আছে তাদেরকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। টিকা আসছে পর্যাপ্তভাবে, মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করছেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আপনি সুস্থ থাকলে অবশ্যই টিকা নিতে পারবেন। এই সুস্থতা ও বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বিশ্বের সকল দেশেই স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর জোর দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত সকল টিকা পুরোপুরি সুরক্ষিত নয়। টিকা দেওয়ার পরেও আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এই স্বাস্থ্যবিধিটা মানা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সরকার যথেষ্ট আপ্রাণ চেষ্টা করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে শুরু করে যত ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসা সেবা দান প্রতিষ্ঠান রয়েছে সকলেই কিন্তু বার বার একটি কথাই বলছে যে স্বাস্থ্যবিধিটা মানা। তারা বার বার তাগাদা দিচ্ছে যে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এই যে ঈদুল আজহা, কোরবানির হাট এসব জায়গায় আমরা উৎসব করবো নিঃসন্দেহ কিন্তু আমার বাসায় যদি কোন মানুষ অসুস্থ থাকে তাহলে কি আমি আমার বাসায় উৎসব করতে পারবো? সুতরাং এই সুস্থ রাখার বিষয়টা আমাদের প্রত্যেককে পালন করত হবে। আমাদের সবার বাসায় একজন বয়স্ক বা একজন করে শিশু রয়েছে। সুতরাং তাদের প্রতি খেয়াল রেখে আমরা যারা দৈনন্দিন জীবনে বাহিরে যাচ্ছি তাদের সুরক্ষার কথা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের মধ্যে এই যে একটা না মানার রীতি রয়েছে সেখানে যদি আমরা আমাদের এলাকার যেসব স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে তারা যদি এই সকল লোকদের একটু তাগাদা দেই তাহলে এবং পাশাপাশি ৩০ ঊর্ধ্ব বয়সীদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় করোনা ভাইরাসের যে সংক্রমণটা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। কাজেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শুধু প্রিয়জনের সাথে ঈদ উৎসবের আনন্দ করতে ঠাসাঠাসি, গাদাগাদি করে ঈদ যাত্রা করে কেউ যদি আমরা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হই তাহলে শুধু আমার নিজের জীবনই যাবে না, সেই সাথে হারাতে পারি আমাদের প্রিয়জনকেও। বিপন্ন করে তুলতে পারি পুরো সমাজের মানুষের জীবনকে।