ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার কামড় থেকে পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে সারা দেশে ইউনিটভিত্তিক অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই পদের নাম ‘ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট অফিসার’ বা ডিএমও।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার কর্মকর্তা ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) তাপতুন নাসরিন বলেন, ‘মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয়, নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে বলা হয়েছে।’
পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত মে মাস থেকে পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হতে শুরু করেন। জুলাই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। একাধিক কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনদের মৃত্যু হয়। এতে রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই এ রোগ থেকে বাঁচতে সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয় সারা দেশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
তারা আরো জানান, গত ৭ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (স্বাস্থ্য ও শিক্ষা) তাপতুন নাসরিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সারা দেশের রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও এসপিদের কাছে পাঠানো হয়। তবে ঈদের ছুটি থাকায় ওই নির্দেশনা পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) সেই চিঠি বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা হাতে পেয়েছেন। গতকাল নির্দেশনাটি ডিএমপির বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চিঠি বিতরণে দায়িত্বশীলদের গাফিলতির কারণেই এটি আসতে দেরি হয়েছে। ততদিনে অনেক পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।’