তলপেটে ব্যথার কথা বলে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা সনদ (মেডিকেল সার্টিফিকেট) নিতে ব্যর্থ হয়েছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেই অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। এতে ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসককে দেওয়া ৫শ’ টাকা ফি ফেরতও নিয়েছেন তিনি।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ওই চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে জানান, গত বুধবার তলপেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসেন সাধনা। এই অসুস্থতার জন্য তিনি ১৫ দিন তাকে রেস্টে থাকতে হবে এই মর্মে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট দাবি করেন।
চিকিৎসক এ সময় তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, তার পেটে ব্যথা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। যে কারণে তিনি সাধনাকে ওই সার্টিফিকেট দেননি। এ জন্য তার ওপর বেশ ক্ষিপ্ত হন সাধনা। পরে সার্টিফিকেট না পেয়ে চিকিৎসককে দেওয়া ভিজিটের ৫শ’ টাকা ফেরত নেন তিনি।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা তার কর্মস্থলে যাওয়ার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সে সময় ওই নারীর হাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে একটি ছুটির আবেদনপত্র দেখা যায়।
আবেদনে অফিস চলাকালীন অসুস্থ বোধ করায় ২৭ আগস্ট থেকে তিন দিনের ছুটির কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখার অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ওই নারী। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সঙ্গে অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়। ২৪ মিনিটের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আহমেদ কবিরকে ওএসডি করে। এরই মধ্যে এই ঘটনার পর সাধনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অসুস্থতার কথা বলে ছুটির আবেদন করেন।