নিজস্ব প্রতিবেদক: বোয়ালখালী উপজেলায় এক নারী কর্মকর্তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একরামুল ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির এই অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী। জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক পারভীন আক্তারকে এ অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন।
তবে এমন অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন একরামুল ছিদ্দিক।
ওই নারী কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে একরামুল ছিদ্দিক ফোন করে তাকে কার্যালয়ে ডেকে নেন। এ সময় কার্যালয়ে নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চার ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। গালাগাল শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লে উপস্থিত ব্যক্তিদের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। লোকজন বেরিয়ে গেলে তিনি প্রথমে তার হাত ধরেন এবং এরপর জড়িয়ে ধরে নিগৃহীত করেন। এ সময় ওই নারী কর্মকর্তাকে সম্মানহানির ভয়ভীতিও দেখান।’
ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ওই নারী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও একরামুল ছিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে বলেন, ‘মূলত এক এনজিও কর্মীর সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে বিভিন্নভাবে আমার কাছে অভিযোগ আসে। অফিসের মধ্যেই তারা অবাধে ও দৃষ্টিকটু আচরণ করেন বলে নানাভাবে জানতে পেরেছি। ফলে তাকে আমার অফিসে ডেকে এনে সতর্ক করি এবং বলেছি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। আমি ভাবতেই পারিনি, তিনি আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করবেন।’ জেলা প্রশাসকের কাছেও তিনি বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে সমকালকে জানান।
তবে এ প্রসঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে নির্বাহী কর্মকর্তার কোনো বিরোধ নেই। তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিংবা মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার কারণ নেই। ঘটনা যা ঘটেছে আমি তা জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ আকারে জানিয়েছি।’
তিনি আরও দাবি করেন, কোনো দরকারি ফাইলে সই করাতে গেলে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দেড়-দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখতেন। এ ছাড়া অন্য কোনো সহকর্মীর মাধ্যমে ফাইল পাঠানো হলে তিনি খারাপ ব্যবহার করে তা ফেরত পাঠাতেন। নিজে নিয়ে না গেলে ফাইলে স্বাক্ষর করতেন না তিনি।