নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়, দুঃস্থ পরিবারের জন্য চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে গত একমাসে ৮ দফায় সরকারি মোট বরাদ্দ এসেছে ৬০ মেট্টিক টন চাউল, নগদ ১লাখ ৭২ হাজার টাকা, ৮০ প্যাকেট গুড়োদুধ ও শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ হাজার টাকা। পৌরসভার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ আসে ২২ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া এবার বোয়ালখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১২শ পরিবার পাচ্ছেন বিশেষ ওএমএস কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যমে ১০টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাউল কিনতে পারবেন তারা।
বোয়ালখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহজাদা মিজানুর রহমান বলেন, পৌর এলাকার ১২শ পরিবারকে ১০টাকা কেজি দরে চাউল কিনতে বিশেষ ওএমএস কার্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দরিদ্র-মেহনতি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে পৌরসভা ছাড়া উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ১হাজার ৬শত ৪১জন চরম দরিদ্র ও দুস্থ মানুষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সরকারের রেশন কার্ড সুবিধায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেয়ে আসছেন।
এছাড়া ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ের ১ হাজার জন হতদরিদ্র ব্যক্তি বিনামূল্যে ৩০কেজি করে চাউল পাচ্ছেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
একই সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্মহীন, হতদরিদ্র, অসহায় পরিবারগুলোর জন্য এ পর্যন্ত ৮ম দফায় বোয়ালখালীতে চাউল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ এসেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে ১ম দফায় উপজেলার জন্য ৫ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাউল ও শুকনো খাদ্য ক্রয়ের জন্য নগদ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। ২য় দফায় বরাদ্দ আসে ৬ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাউল। ৩য় দফায় ৮ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাউল ও পৌরসভার জন্য নগদ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ৪র্থ দফায় উপজেলার জন্য ৬ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ৩২ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য নগদ ১১ হাজার টাকা ও পৌরসভার জন্য ৯ মেট্রিক টন চাউল এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। ৫ম দফায় ১৬ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং পৌরসভার জন্য ১৩ মেট্রিক টন চাউল সরকারি বরাদ্দ আসে। ৬ষ্ঠ দফায় ৮দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৭ম দফায় ৮০ প্যাকেট গুড়োদুধ এবং ৮ম দফায় ৮ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা। গত এক মাসে এসব বরাদ্দ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, বরাদ্দ পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।