নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রেইনী রিক্রুট কনস্টেবল পদে মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সুমি মল্লিক। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ কড়লডেঙ্গার মল্লিক পাড়ার রণধীর মল্লিকের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সুমি বড়।
রণধীর মল্লিক শহরের একটি পোশাক কারখানায় দারোয়ানের চাকরি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে সমাজের নানা গঞ্জনা বঞ্চনা দমিয়ে রাখতে পারেনি সুমিকে। ২০১৫ সালের রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে খলিলুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে টাকার জন্য মেয়ের বিয়েও দিতে পারছেন না, এতো লেখাপড়া করে কি হবে? এমন কথা প্রায় শুনতে হয়েছে সুমির পরিবারকে। বাবা রণধীর দারোয়ানের চাকুরি করে কতো টাকায় বা কামাই করেন-এসব বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে সুমি। বন্ধবীদের কাছ থেকে জানতে পেরে ট্রেইনী রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদন করে তিনি ১০৩ টাকায় নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বোয়ালখালী থানা কম্পাউন্ডে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সুমির মতো সংসারের অভাব অনটনের কথা তুলে ধরেন বোয়ালখালী থেকে মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ট্রেইনী রিক্রুট কনস্টেবল ইফতেখার হোসেন রাকিব, আজমল হোসেন, রাজেশ চৌধুরী।
উপজেলার ৫৮জন ট্রেইনী রিক্রুট কনস্টেবলকে রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক ও মিষ্টি মুখ করিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ পিপিএম।
এ সময় দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যে ওসি বলেন, ‘ঘুষ দিয়ে নয়, শতভাগ যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে পুলিশ বিভাগে চাকুরি হয়েছে। তাই আপনাদের হাত ধরেই দুর্নীতিমুক্ত হবে এ দেশ।’
সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুখী, উপ-পরিদর্শক তাজ উদ্দিন, আবু কাউছার, দেলোয়ার হোসেন, মানিক ভূঁইয়া।