নিজস্ব প্রতিবেদক : যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদের জন্য এবার দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আড়াই লাখ টাকা ব্যয় নির্মিত প্রতিটি ঘরে থাকবে শয়নকক্ষ, রান্নাঘর ও শৌচাগার
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিকল্প হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় টিআর/কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দে দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ করা হবে।
সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ৮৯টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ৩০ লক্ষ ৯ হাজার ২৫৯টাকা। এর মধ্যে বোয়ালখালীতে চারটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ লক্ষ ৮হাজার টাকা বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ৮৯টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে চাহিদামাফিক আরো কিছু ঘর তৈরির বরাদ্দ চাওয়া হবে। এটি যুগোপযোগী প্রকল্প। এক ছাউনির নিচে নির্মিত ঘরগুলোতে শয়নকক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেট থাকবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে দুই লক্ষ ৫২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দে এসব ঘর নির্মাণের কথা থাকলেও এ ফান্ড ফেরত যাবে না। অর্থ ফেরত না যায় মতো অন্য ফান্ডে জমা রাখা হবে।’
জানা যায়, ৮শত বর্গফুট (প্রায় দুই শতাংশ) জায়গার উপর রান্নাঘর, টয়লেটসহ প্রতিটি সেমিপাকা টিনশেড গৃহ (দুইকক্ষ বিশিষ্ট) নির্মিত হবে। প্রত্যেকটি ঘরে ভবিষ্যতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সোলার প্যানেল সংযোজন ও গৃহ সংলগ্ন টয়লেট থাকার ফলে রাত্রিকালে নারী-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
দরিদ্র গৃহহীন পরিবার যাদের কমপক্ষে দুই শতাংশ জমি আছে, উক্ত পরিমাণ জমি লিজ অথবা স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে থাকলে সে সকল পরিবার এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। জমির সংস্থান সাপেক্ষে গৃহহীন হিজড়া, বেদে, বাউল, আদিবাসী, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী প্রভৃতি সম্প্রদায় এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। গৃহহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদীভাঙ্গনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীন পরিবার, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত মহিলা, প্রতিবন্ধীব্যক্তি ও পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই এমন পরিবার অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হবে।