প্রতিনিধি

বোয়ালখালীতে রুমানা হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুমানার পরিবার। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলা বিআরডিবি হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে রুমানার পিতা নুরুল আলম জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় চাষীর মেয়ে বলে রুমানাকে হেয় প্রতিপন্নসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর রুমানার সাথে উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী চরখিজিরপুর এলাকার শফিউল আলমের ছেলে আবু তৈয়বের বিয়ে হয়। চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর শীতের পিঠা নিয়ে গেলে কম হয়েছে বলে তা ফেরত দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর রুমানার লাশ মিলে শ্বশুর বাড়িতে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে রুমানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে রুমানার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
রুমানার মা নুর নাহার বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। রুমানার শরীরের আঘাতের দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

১৩ ডিসেম্বর রুমানার শাশুড়িকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে রুমানার ভাই জানে আলম বলেন মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রুমানার ভাই জানে আলম, মর্জিনা আকতার, মো. আজাদ হোসেন, খায়রুন নেচ্ছা, আলী আহাম্মদ, কামাল উদ্দিন ও মো. সাগর। ৬ ডিসেম্বর সকালে বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী চরখিজিরপুর গ্রামের নুরুল আলমের মেয়ে রুমানার ঝুলন্ত মরদেহ শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

রুমানার সাথে একই এলাকার প্রবাসী আবু তৈয়বের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই বছর বয়সী মো. রায়হান নামের একটি সন্তান রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here