নগর প্রতিবেদক :
০৬ আগস্ট ২০২১ইং শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে বিপ্লবী তারকেশ্বর স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ৭৭তম হিরোশিমা দিবস উপলক্ষে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মালিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কান্তি চৌধুরী। প্রধান অতিথি সমাজচিন্তাবিদ অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরজিতৎ দাশ শুনু, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ শেখর দত্ত, মাষ্টার অজিত কান্তি শীল, সাবেক প্রধান শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, তপন ভট্টাচার্য্য, প্রমোতোষ চৌধুরী, শিল্পী বাসুদেব রক্ষিত, আবৃত্তি শিল্পী সায়েম উদ্দিন, শিল্পী রানা মল্লিক, শিল্পী পরিতোষ দে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ থেকে ৭৬ বছর আগে এইদিনে পরমানু বোমায় কেপে উঠেছিল জাপানের হিরোসিমা নাগাসাকি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের দামামা তখন জোরেসোড়ে বাড়ছে। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে ১ম পারমানবিক বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় তখন সকাল ৮টা ১৫ মিনিট। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে কত লোক মারা গিয়েছিল তা মূলত: আনুমানিক হিসেবে ধারণা করা হয় শহরের সাড়ে ৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ ঐ বোমা বিস্ফোরণেই মারা যায় আর নাগাসাকিতে মারা যায় ৭৪ হাজার মানুষ। কিন্তু পরমাণু বোমার তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়ে পরবর্তী সপ্তাহ, মাস এবং বছরগুলিতে আরও বহু মানুষ মারা গিয়েছিল।
এই বোমার শিকার হয়েও যারা বেঁচে গিয়েছিল তারা ‘হিরাকুশা’ বলে পরিচিত। তাদের ভয়ংকর শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে বাকী জীবন বাঁচতে হয়েছে। আণবিক বোমা হামলার এত বছর পরও শহর দুটোতে জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য রোগে ভুগছে বহু মানুষ। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ‘এমন দুঃসহ অতীতের পুনরাবৃত্তি আমরা হতে দিতে পারি না। সভ্য সমাজকে অবশ্যই আত্মকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ পরিত্যাগ করতে হবে এবং সকল হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা কোভিড-১৯ এর মতো মানুষ-সৃষ্ট ও প্রাকৃতির দুর্যোগের বিরুদ্ধে পৃথিবীর সকল বিশ্ব নেতারা এক হয়ে কাজ করতে হবে, না হয় পৃথিবীতে মানুষ ডায়নোচর এর মত বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন বক্তারা