আলোকিত ডেক্স :
৩০ অক্টোবর বোয়ালখালীর কৃতি সন্তান, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি, বোধন আবৃত্তি স্কুলের অধ্যক্ষ রণজিৎ রক্ষিত’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
আবৃত্তির জাদুকর হিসেবে পরিচিতি রণজিৎ রক্ষিতের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়া গ্রামে। বাবা বিপ্লবী যতীন্দ্রমোহন রক্ষিত ও মা রানি রক্ষিত। ষাটের দশকে নিয়মিত আবৃত্তিচর্চার পাশাপাশি নাট্য আন্দোলনেও সম্পৃক্ত হন তিনি।
১৯৬৫ সালে শিক্ষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কুনজরে পড়েন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম সহায়ক সমিতির সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের প্রথম পথনাটক গণায়ন নাট্য সম্প্রদায়ের ‘যায় দিন ফাগুন দিন’ এ মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তখন থেকে গণায়ন ও নান্দীকার নাট্য সম্প্রদায়ে কাজ করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম বেতারে নিয়মিত কাজ করেন। অভিনয় করেন চারটি টেলিফ্লিমে।
দেশের বাইরে ভারত, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে আবৃত্তি পরিবেশন করে সমাদৃত হন। সম্মাননা দিয়ে তাকে সম্মানিত করেছে সুচেতনা কলকাতা, স্বনন ঢাকা, প্রমা, অবসর, বান্ধব পাঠাগার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, বর্ণ আবৃত্তি সংসদ, বিশ্বজনীন শান্তি সংঘ, মোপলেসসহ নানা সংগঠন। তিনি মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪১ বছর জীববিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন।
তিনি চট্টগ্রাম একাডেমি, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ, প্রবর্তক সংঘসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আমন্ত্রণে রণজিৎ রক্ষিত কলকাতা ও বর্ধমানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন।