গার্মেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই ক‌রোনার এই প্রাদুর্ভাবে গ্রাম থে‌কে শ্রমিকদের ফি‌রি‌য়ে না আনার অনুরোধ ক‌রে‌ছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে সদস্য‌দের উদ্দেশে এক বার্তায় এ তথ্য জানি‌য়ে‌ছে সংগঠন‌টি।

বিজিএমইএর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অর্থনীতি‌কে চলমান রাখতে সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা দে‌বে বিজিএমইএ। সেই নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছে, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেয়া হবে জা‌নি‌য়ে বিজিএমইএ বল‌ছে, শুরু‌তে কারখানা সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। ফলে প্রথম ধাপে কারখানার আশপাশে যেসব শ্রমিক থাকে, তাদেরই কাজে যোগদান করতে বলা যাবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় কোনো শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ করে‌ছে পোশাক মা‌লিক‌দের সংগঠন‌টি। এছাড়া বিরূপ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসা হলে বিজিএমইএর পক্ষ থে‌কে কোনো সহায়তা করা হ‌বে না ব‌লে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

এ‌দি‌কে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সরকা‌রি আ‌দে‌শে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন নির্দেশনা পালন সাপেক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আ‌গে করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

জানা গে‌ছে, সাধারণ ছুটির সময় গণপ‌রিবহন বন্ধ থাক‌বে।‌ এমন প‌রি‌স্থি‌তি‌তে গ্রা‌মে চ‌লে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে মা‌লিকরা যেন বাধ্য না ক‌রে সেজন্য বিজিএমইএ এই নির্দেশনা দি‌য়ে‌ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here