আলোকিত ডেক্স :সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের নাগরিকদের প্রত্যেককে কর্মস্থলে ও বাসস্থানে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে সন্তানদেরও এই পরিবেশবাদী কাজ শেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

সরকারপ্রধান বলেন, সভ্যতার ক্রমবিকাশ অব্যাহত রাখতে হবে, তবে পরিবেশের দিকে লক্ষ্য রেখেই এটি করতে হবে।

পরিবেশ দূষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা আর ক’দিন থাকবো। কিন্তু আমাদের বংশধররা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, টিকে থাকতে পারে, সেজন্য শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে। প্রত্যেকে নিজের এলাকায় যতো ইচ্ছে গাছ লাগাবেন। এতে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।

এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন।

সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কর্মসূচির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। এই বন রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বনে বেশি বাঘ থাকলে অনেকে ভেতরে গিয়ে বনের ক্ষতিকর কিছু করার সাহস পায় না।

তিনি বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় নদীর লবণাক্ততা দূর করতে হবে। লবণাক্ততা দূর হলে হোগলা বন বেড়ে যায়। আর হোগলা বনে বাঘের বিচরণ বেড়ে যায়। নদীর নাব্যতা বাড়ানোরও কাজ করা হচ্ছে।

সরকারপ্রধান এসময় বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও ধ্বংস হয়ে গেছে পাহাড়ি বনাঞ্চল।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here