এশিয়া খ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার এক কালের কৃতি এই ছাত্র আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েও অন্যকিছু না ভেবে শিক্ষাকতার মহান পেশায় জড়িয়ে পরেন। তাও আবার প্রাণের জামেয়ায়। জামেয়ায় শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত থাকা অবস্থায় তার আখলাক ও ছাত্রদের প্রতি অভূতপূর্ব ভালোবাসার কারনে জামেয়ার কম বেশি সব ছাত্রদের সাথে তার এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও আন্তরিকতা জন্ম নেয়। দিন দিন ছাত্রদের বাড়তে থাকে তার প্রতি ভালোবাসা। কিন্তু ছাত্র -শিক্ষকের নিস্বার্থ এই ভালোবাসা বেশী দিন স্হায়ী হতে দেয়নি মানুষরুপী কিছু অমানুষ। এক সময় জামেয়ার অভ্যন্তরে থাকা জামেয়া বিদ্বেষী কিছু মানুষের চক্ষুশূলে পরিনত হয় ছাত্র-শিক্ষকের মধুর এই সম্পর্ক । সহজ-সরল এই শিক্ষকের প্রতি শুরু হয় ষড়যন্ত্রের জাল বুনন। ষড়যন্ত্র কারীরা এক সময় সফলও হয় এবং জামেয়ায় শিক্ষকতা ইস্তফা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত প্রিয় এই শিক্ষককে।
ষড়যন্ত্র কারীদের কুট চাল এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা যেন আজীবনের জন্য লেগে যায় সদা হাস্যজ্বল এই মানুষটির পেছনে। শুরু হয় একের পর এক ষড়যন্ত্র। তার পেছনে তকমা লাগিয়ে দেয় জ্বামেয়া বিদ্বেষী বলে। অথচ, যে মানুষটার সাথে জামেয়ার সম্পর্ক ছাত্র জীবন থেকে এবং অনেকটা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বছরের পর বছর যিনি দিয়েছিলেন যেখানে শ্রম, কালের ব্যবধানে তিনি হয়ে গেলেন জামেয়া বিদ্বেষী। দোষ তার একটায় তিনি সবসময় হকের পক্ষে ছিলেন। যখন তিনি দেখেছেন বেলায়তের সম্রাট গাউসুল আজম মাইজভান্ডারির (ক:) শানে কেউ আঘাত করেছে, তিনি সাথে সাথেই প্রতিবাদ করেছেন। যখন দেখেছেন মাওলা আলীর (ক.) শানে কেউ গোস্তাকি করেছে, তখন তিনি কোটি কোটি আশেকে আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ হয়ে আহলে বাইতের শানে দুশমনির প্রতিবাদ করেছেন। এই ছিল তার অপরাধ। এজন্যই তিনি হয়ে গেলেন বিদ্বেষী।
যারা গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর শান শুনলে চোখ কপালে তুলে। গাউসুল আজম মাইজভান্ডারির (ক:) শান যাদের কাছে অসহ্য লাগে। এরা তারাই যারা মাওলা আলী শেরে খোদাকে মদ্যপ প্রমানে উঠে পড়ে লেগেছে।
লিখেছেন- সোহাব মিয়াজী