নগরীর রহমতগঞ্জ জে.এম.সেন হলে স্বামী সুসিদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজের ৫৬তম শুভ আর্বিভাব উপলক্ষ্যে ৩দিনব্যাপী মহোৎসব আগামীকাল ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে।
বোয়ালখালী পৌরসভার গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের আয়োজনে এ মহোৎসবে নানান কর্মসূচিতে সাজানো হয়েছে প্রতিটি পর্ব।
উৎসবের ১ম দিন বুধবার ঊষালগ্নে বৈদিকমন্ত্র আবৃত্তি সহকারে ৫৬টি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বৈদিক শান্তিমন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে পরমপূজ্য গুরুদেবের জন্মোৎসবের শুভারম্ভ। সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন। ৮টায় আরতি, স্তব-স্তুতি, প্রার্থনা এবং পঞ্চদেবতাদির পূজা-অর্চনা, ৯টায় শ্রীগুরু ভগবানের পূজা, সাড়ে ১০টায় শ্রী গুরুভগবানের চরণকমলে পুষ্পাঞ্জলি এবং মাল্যদান, সাড়ে ১১টায় শ্রীগুরু ভগবানের আর্শীবচন, দুপুর ১২টায় ভোগারতি, আনন্দগীতি ও প্রার্থনা, ১টায় প্রসাদ আস্বাদন ও ভক্তি সংগীতাঞ্জলি। বিকেল ৩টায় বেদান্তের আধারে সংগীতময় ভাগবত কথা পরিবেশন করবেন ড. পল্লবী বসু দত্ত।
বিকেল ৫টায় সনাতন ধর্মসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন, মহান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেদান্তাচার্য ড. স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী মহারাজ, অতিথি থাকবেন ড. বৃন্দাবনবিহারী দাস কাঠিয়াবাবাজী, অধ্যাপক ড. কিংকর সামানন্দ মহারাজ, স্বামী শর্বানন্দ গিরি মহারাজ, কিংকর মধুমঙ্গল দাস কাঠিয়াবাবা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ। সন্ধ্যা ৭টায় সন্ধ্যারতি, রাত ৮টায় অঞ্জন উপধ্যায় ও তাঁর সম্প্রদায় পরিবেশন করবেন লীলা কীর্ত্তন।
২য় দিন বৃহস্পতিবার কর্মসূচিতে রয়েছে ঊষালগ্নে বৈদিক শান্তিমন্ত্র পাঠ, প্রার্থনা ও বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ, সকাল ৭টায় শ্রী গীতা পূজা ও গীতা পারায়ণ, সাড়ে ৭টায় দেবপূজা ও গুরুব্রহ্মের পূজা, ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ শাখার আয়োজনে রক্তদান কর্মসূচি, ১১টায় মঙ্গলময় বিশ্বশান্তি যজ্ঞ, দুপুর ১২টায় ভোগারতি, গীতারতি ও প্রার্থনা, ১টায় প্রসাদ আস্বাদন ও ভক্তি সংগীতাঞ্জলি, বিকেল ৩টায় বেদান্তের আধারে সংগীতময় ভাগবত কথা পরিবেশন করবেন ড. পল্লবী বসু দত্ত। বিকেল ৫টায় ধর্ম মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, মহান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, অতিথি থাকবেন রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, অবসরপ্রাপ্ত উপ সচিব দিলীপ কুমার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুনীল ধর ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ ধর। সন্ধ্যা ৭টায় আরাত্রিক নিবেদন, রাত ৮টায় অঞ্জন উপধ্যায় ও তাঁর সম্প্রদায় পরিবেশন করবেন লীলা কীর্ত্তন।
৩য় দিন শুক্রবার কর্মসূচিতে রয়েছে ঊষালগ্নে মঙ্গলারতি, বৈদিক শান্তিমন্ত্র পাঠ ও প্রার্থনা, সকাল ৭টায় দেব পূজা, গুরু পূজা এবং সপ্তশতী চন্ডীপাঠ যজ্ঞ, ৮টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গলময় শোভাযাত্রা, ১১টায় সাধু সমাবেশ ও সাধু প্রবচন, দুপুর ১২টায় রাজ ভোগ নিবেদন ও প্রার্থনা, ১টায় প্রসাদ আস্বাদন, বস্ত্র বিতরণ, দেড়টায় ভক্তি সংগীতাঞ্জলি। বিকেল ৪টায় মহতী ধর্মসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী মহারাজ, ড. বৃন্দাবনবিহারী দাস কাঠিয়াবাবা, স্বামী শর্বানন্দ গিরি মহারাজ, ড. কিংকর সামানন্দ মহারাজ, কিংকর মধুমঙ্গল দাস কাঠিয়াবাবা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব তপন চন্দ্র বণিক, অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্ত্তী, এডভোকেট সুলীন সরকার। সভায় ধন্যবাদ প্রদান করবেন গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ। সন্ধ্যা ৭টায় সন্ধ্যারতি ও যোগাসন প্রদর্শন করবে গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের বিদ্যার্থীবৃন্দ। রাত ৮টায় অঞ্জন উপধ্যায় ও তাঁর সম্প্রদায় পরিবেশন করবেন লীলা কীর্ত্তন। রাত সাড়ে ১০টায় বৈদিক শান্তিমন্ত্রের মধ্য দিয়ে মহোৎসবের পূর্ণাহুতি ঘোষণা করা হবে।
তিনদিনব্যাপী এ মঙ্গলময় আয়োজনে সকলের উপস্থিতি কামনা করেছেন মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোমদণ্ডী যোগাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ।