চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে। বোয়ালখালীবাসীর প্রত্যাশা হচ্ছে বোয়ালখালী সেতু। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সংসদে উচ্চকণ্ঠে এই সেতু বাস্তবায়নে অবদান রাখবো। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার মানুষকে ভূমি দস্যুতা, মাদকের ছোবল ও জলবদ্ধতা থেকে রক্ষাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবো। একজন জনপ্রতিনিধির এটাই দায়িত্ব হওয়া উচিত।
তিনি আজ ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকালে ধানের শীষের পক্ষে খাজা রোডের বলিরহাট, ফার্নিসার মার্কেট, কোদাল কাটা, পাক্কা দোকান, সাবানঘাটা, খোলাপাড়া হয়ে আমিনের দোকান এলাকায় গণসংযোগ শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
তিনি এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এতে সর্বস্তরের জনসাধারণ নেতৃবৃন্দের সাথে ধানের শীষের গণসংযোগে অংশ নেন। তারা এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন।
এসময় সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ান বলেন, সাধারণ জনগণ চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে আমাদের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শংকা আছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অতীত কর্মকান্ড সুখকর নয়। তারপরও ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে তা কোন অপশক্তি ঠেকাতে পারবে না। জনগণের বিজয় হবেই। ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, এই চান্দগাঁও বহদ্দারহাট এলাকাতেই আমার বেড়ে উঠা, লেখাপড়া ও রাজনীতি। অথচ আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রাজনীতিতে পেরে উঠতে না পেরে তিনি আমার জন্ম এখানে না বলে মিথ্যাচার করছে। আমি এই চান্দগাঁও এলাকার ভোটার। কিন্তু আমার সম্মানিত প্রতিদ্বন্ধি চান্দগাঁও এলাকার ভোটারও না। তিনি লালখান বাজার এলাকার ভোটার। আসলে শেষ বিচারের ভার ভোটারদের উপরই। ভোটারেরাই নির্ধারণ করবে তারা কোন প্রার্থীকে জয়ী করবেন।
গণসংযোগ শেষে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের মেয়র এবং একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এখন একজন উপমন্ত্রীও ঢাকা থেকে এসে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে শুনেছি। এটা স্পষ্টতঃ নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। যারা আইন বানাচ্ছেন, তারাই আইন ভঙ্গ করছেন। সরকারি দলের নেতাদের আইন অমান্যের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, মন্ত্রী-উপমন্ত্রী অথবা সংসদ সদস্য পদমর্যাদার কেউ ঘরোয়াভাবেও কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বকতেয়ার, সহদপ্তর সম্পাদ মো. ইদ্রিস আলী, সহআপ্যায়ন সম্পাদক আবদুল আজিজ, সহপ্রচার সম্পদাক মো. শাহজাহান, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, ইউসুফ সিকদার, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল্লা আল ছগীর, বিএনপি নেতা হাজী ইলিয়াছ সেকু, আফিল উদ্দিন, হাসান ওসমান চৌধুরী, আইয়ুব আলী, মনু মিয়া সওদাগর, মো. ইলিয়াছ আলী, আবু বকর, নিজাম হাজী, হাজী মো. ইউসুফ, শহরমুল্লুক সওদাগর, মহিলা দল নেত্রী রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, আফরোজা বেগম জলি, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এস এম রব, ম. হামিদ, মোশাররফ হোসেন, ইকবাল পারভেজ, গোলজার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মোর্শেদ কামাল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, এসকান্দর হোসেন, আলমগীর আল, টিটু, দিদারুল আলম, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ