অনলাইন ডেস্ক : চিহ্নিত ৮৯টি উৎসের মধ্যে ভূমি, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য, আয়কর, হিসাবরক্ষণ, বিমান ও সিভিল এভিয়েশনখাতের অসঙ্গতি উল্লেখযোগ্য। একইসঙ্গে দুর্নীতি রোধে প্রতিষ্ঠানটি ১০৭টি সুপারিশ করেছে। দুদক বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানের সেবা পদ্ধতিতে ফাঁক-ফোঁকর থাকায় দুর্নীতি বাড়ছে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি রোধে দুদকের করা সুপারিশগুলো সরকারের আমলে নিয়ে কাজ করা উচিত। তাহলে অনেকাংশে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে।

২০১৮ সালে দুদকের বার্ষিক রিপোর্টে ভূমি, পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য, আয়কর, হিসাবরক্ষণ, বিমান ও সিভিল এভিয়েশনখাতের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ভূমিতে দুর্নীতি উৎস রয়েছে ৮টি, সুপারিশ রয়েছে ১০টি, পাসপোর্টে দুর্নীতির উৎস রয়েছে ৫টি সুপারিশ রয়েছে সাতটি, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির উৎস রয়েছে ১১টি, সুপারিশ রয়েছে ২৭টি, আয়কর খাতে দুর্নীতির উৎস রয়েছে ১৩টি আর সুপারিশ রয়েছে ২৩টি, হিসাবরক্ষণে দুর্নীতির উৎস রয়েছে ৩৩টি আর সুপারিশ রয়েছে ২১টি, বিমানে দুর্নীতির উৎস রয়েছে ৮টি আর সুপারিশ রয়েছে ৮টি, সিভিল এভিয়েশনে দুর্নীতির ১১টি উৎস ও রোধে ১১টি সুপারিশ করেছে দুদক।

ভূমিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক ৮টি উৎস চিহ্নিত করেছে সেগুলো হচ্ছে, ভূমি রেজিস্ট্রি, নামজারি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি কর, ভূমি রেকর্ড, খাস জমি, পরিত্যক্ত ও অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি হয়ে থাকে এবং ১০টি সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সুপারিশ হচ্ছে, খাস, পরিত্যক্ত জমি, হাট-বাজারসহ সরকারি সকল সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করা। একই সঙ্গে এ সকল সম্পত্তিতে সরকারি বিল বোর্ড বসানো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here