সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) বিতরণ কার্যক্রম ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তার ই-পাসপোর্টটি তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯তম দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম ঘোষণার পর ইলেকট্রনিক বাটন চেপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সামগ্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, প্রথম ধাপে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্টও কার্যকর থাকবে।

এই পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে এবং ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

ই-পাসপোর্ট থাকলে বিমানবন্দরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে চেক-ইন ও চেক-আউট করতে হবে না। ই-গেট দিয়ে সহজে চেক-ইন, চেক-আউট করা যাবে।

ই-পাসপোর্টে স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকে। এ চিপে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

ই-পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পাতার এবং এর মেয়াদ হবে পাঁচ ও ১০ বছরের।

জার্মান কোম্পানি ভেরিদোস জিএমবিএইচ বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট  নিয়ে কাজ করছে। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই  ডিপিআই ও ভেরিদোস কোম্পানি মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি ই-পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

এ সংক্রান্ত একটি তথ্য চিত্র তুলে ধরেন ই–পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here