টিকিট কালোবাজারি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের কেউ যদি কালোবাজারিতে জড়িত থাকে, তাহলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, ঈদে কোনো ভিআইপি কিংবা নেতাকর্মীর জন্য টিকিটের সুপারিশ করা হবে না।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির সক্ষমতা এখনো অর্জন করতে পারেনি রেল মন্ত্রণালয়। তাই সিএনএস-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়। ঈদুল ফিতরে অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কাটতে সমস্যা হয়েছে, পরে আমরা তাদের সঙ্গে বসেছি, তারা বলেছে, এবার এসব সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, ঈদে টিকিটের জন্য কোনো সুপারিশ করা হবে না। তবে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিবসহ যারা পরিবার নিয়ে যাবেন, তারা টিকিট পাবেন। এর বাইরে কোনো নেতাকর্মী কিংবা কোনো ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে না।
রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ঈদুল ফিতরে সিএনএসের সক্ষমতা হিট ছিলো ১ মিনিটে ১৫ হাজার। এবার তারা বাড়িয়ে প্রতি মিনিটে ২ লাখ করেছে। তিনি বলেন, তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে কিনা, এজন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে রেলের ডিজি মো. শামসুজ্জামান বলেন, চলমান বন্যায় পশ্চিমাঞ্চলে কোনারপাড়া থেকে গাইবান্ধা সেকশনে ৭ কিলোমিটার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি, আশা করি, ২৮ জুলাইয়ের (রোববার) মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হবে। তিনি জানান, কুড়িগ্রামেও অর্ধকিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দোহাজারি ও মেলান্দহ বাজারে ২৫ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজ চলছে, নতুন করে বন্যা না হলে ঈদের আগেই সব কাজ শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান প্রমুখ।