সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী আর নেই। এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে (H1N1) আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পী।
তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর। আইসিইউ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক বাপ্পীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর ভাই শওকত ওসমান জানান, বাপ্পীর মরদেহ প্রথমে মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে তার বাসায় নেওয়া হবে। দুপুর ১টায় সুপ্রিম কোর্টে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে নেতা-কর্মীরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি সাবেক এই সাংসদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিক। তার মৃত্যুতে বিরাট সম্পদ হারাল আওয়ামী লীগ।’
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপ্পী খুবই বুদ্ধিমতী ও আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সৎ ছিলেন। তার মতো মানুষের মৃত্যু আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতি।’
এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরীসহ অনেকে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি হন বাপ্পি। হাসপাতালের ৩১২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি নবম ও দশম সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বেও ছিলেন।