গত ১৭ জুন সকালে কামাল লোহানীকে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার ছেলে সাগর লোহানী জানিয়েছিলেন, তার বাবার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল।
দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন কামাল লোহানী। গত মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এক নজরে কামাল লোহানী
কামাল লোহানী (২৬ জুন ১৯৩৪-২০ জুন ২০২০) বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক। কামাল লোহানী নামেই পরিচিত হলেও তার পারিবারিক নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী।
জন্ম ও পারিবারিক জীবন
কামাল লোহানীর জন্ম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার সনতলা গ্রামে। বাবা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মুসা খান লোহানী। মা রোকেয়া খান লোহানী।
শিক্ষাজীবন
কামাল লোহানী প্রথমে কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে পড়াশুনা শুরু করেন। দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে পাবনা চলে যান। ভর্তি হলেন পাবনা জিলা স্কুলে। ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। এরপর ভর্তি হন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে। এই কলেজ থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। আর উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি টানেন তিনি।
কর্মজীবন
কামাল লোহানী ‘দৈনিক আজাদ’, ‘দৈনিক সংবাদ’, ‘দৈনিক পূর্বদেশ’, ‘দৈনিক বার্তা’সহ বিভিন্ন পত্রিকার কর্মরত ছিলেন। তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নে দুদফায় যুগ্ম-সম্পাদক এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হন। তিনি গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালে স্বল্পকাল কারাবাসের পর কামাল লোহানী ‘ছায়ানট’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাড়ে চার বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর মার্কসবাদী আদর্শে ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলেন ‘ক্রান্তি’। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র সভাপতি ছিলেন চার বছর (২০১২ ডিসেম্বর – ২০১৬ ডিসেম্বর)। বর্তমানে উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির এক নাম্বার সদস্য।
সম্মাননা প্রাপ্তি
কামাল লোহানী সাংবাদিকতায় ২০১৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন