দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা। রাজধানীর অভিজাত এলাকা ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। অবশ্য পরের নির্বাচনেই তাঁকে দেখতে হয় মুদ্রার উল্টো পিঠ। একাদশ সংসদে এ আসনে মাত্র ৫০ ভোট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে।
তবে তাঁর গল্পের এখানেই শেষ নয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হয় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসন। পরে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের তফসিল। ঢাকা থেকে সোজা চট্টগ্রামের এ আসনে প্রার্থী হন আলোচিত এ রাজনীতিক। তবে এবারও তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।
সোমবারের (১৩ জানুয়ারি) সেই হারের ব্যবধান ফের আলোচনায় নিয়ে এসেছে তাঁকে। ঢাকা-১৭ আসনে তিনি যেখানে পেয়েছিলেন ৪৩ হাজার ৫৮৫ ভোট, সেখানে চট্টগ্রাম-৮ আসনে তাঁর ঝুলিতে ভোট যোগ হয় মাত্র ১ হাজার ১৮৫টি!
বলছি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সভাপতি আবুল কালাম আজাদের কথা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নানা কারণে দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসেন এই রাজনীতিক।
তাঁর দলের লোগো-প্রতীক নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিতর্কিত সব বক্তব্যের কারণে তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এবার চট্টগ্রাম-৮ আসনে বড় ব্যবধানের হার আরেকবার আলোচনায় নিয়ে এসেছে তাঁকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, চট্টগ্রাম-৮ আসনে আবুল কালাম আজাদ খুব পরিচিত কোনো মুখ নন। এলাকার অনেকে তাঁর নামই জানেন না। উন্নয়ন কিংবা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তাঁকে খুব একটা কাছে পায়নি এলাকার মানুষ। অন্যদিকে তাঁর দল বিএনএফও সাংগঠনিকভাবে এখনও সেভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি।
সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান দুই প্রার্থীর তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিলেন আজাদ। সবমিলিয়ে তাঁর বড় ব্যবধানের এই হার খুব অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না।