ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর উৎসব
সোমা শীল পায়েল

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্রত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে অষ্টমী তিথিতে পালন করা হয়। এটি সাধারণত কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলা অষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়। দ্বাপর যুগে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের উদ্দেশ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীকৃষ্ণরূপে মানবদেহে আবির্ভূত হয়েছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর উৎসবে পালিত রাসলীলা কৃষ্ণপূজা। কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর দিন নন্দোৎসব পালিত হয়।

জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের সাথে শ্রী রাধা, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার পূজা করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়, বেড়ে উঠেছিল গোকুলে এবং সে জন্য মথুরায় ও বৃন্দাবনে এই উৎসবটি বড় করে পালিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবে সারাদেশে ভোগ নিবেদন করা হয় এবং সেই ভোগ ৫৬ ভোগ নামে পরিচিত হয়।

শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রের হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচানোর জন্য একটি পর্বত তাঁর কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে সাত দিন তুলে রেখেছিলেন এবং সেই সাতদিন তিনি কিছুই খাননি। তিনি প্রতিদিন আট পদ খাবার গ্রহণ করতেন এবং সেই সাত দিনে আট পদ খাবার নিবেদন করাই ৫৬ ভোগ নামে পরিচিত। মথুরা নগরে কংস নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি তার বোনকে খুব ভালোবাসতেন।

তাই তিনি তার বোন দেবকীকে বাসুদেবের সাথে বিবাহ দেন। তখন আকাশে প্রবল ঝড় উঠে। তখন তিনি জানতে পারেন, দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান কংসকে হত্যা করবে। তাই তিনি দেবকীকে কারাগারে বন্দি করেন এবং প্রহরীকে বলেন, দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান হলে তাকে যেন বলে। এভাবে তিনি তার ৭টি সন্তান হত্যা করেন এবং অষ্টম গর্ভের সন্তানের জন্ম হয়। সেই অষ্টম গর্ভের সন্তান হলো শ্রীকৃষ্ণ। পৃথিবী আলো করে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। তখন শ্রী বিষ্ণু বলেন, বাসুদেব, তুমি সন্তানকে নিয়ে দৈবালয়ে রেখে এসো এবং তার কন্যাসন্তানকে নিয়ে এসো। এভাবে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় এবং এই ব্রত পালন করলে আমাদের মঙ্গল হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here