মো. খোরশেদ আলম ও গোলাম লুৎফুর রহমান কামাল

ভূমিকা : বীর প্রসবীনী চট্টলার খুব নিকটবর্তী ও অবিচ্ছেদ্য আলোকিত এলাকা ও চট্টগ্রামের প্রাণ প্রবাহিনী নদী কর্ণফুলীর বুকে পতিত পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ী অঞ্চল থেকে নেমে আসা একটি আলোকিত জনপদ বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম জেলার শহরতলী বোয়ালখালী উপজেলা।
১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট এই বোয়াখালী থানার নামকরণ করা হয়। এর নামকরণ নিয়ে উল্লেখ্য কোন তথ্য জানা যায়নি। তবে তৎকালীন প্রখ্যাত দরবেশ ও ইসলাম প্রচারক আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহ্ বোয়ালী কলন্দর শাহের নামেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই বিশাল বিস্তীর্ণ জনপদের। এই থানার পূর্বে পাহাড়ী অঞ্চল। উত্তরে পশ্চিমে কর্ণফুলী নদী এবং দক্ষিণে বোয়ালখালী থানা। এই সীমারেখার মধ্যে অবস্থিত এতদঅঞ্চলের আপামর জনগণের ধারণা ও বিশ্বাস বোয়ালখালী থানার পূর্বাঞ্চল বহু উঁচু নিচু পাহাড় পর্বত রয়েছে সেই পাহাড়ের চুড়ায় ঐতিহাসিক করলডেঙ্গা পাহাড়। বিখ্যাত বুজুর্গ ও আধ্যাত্মিক সাধক (তাঁর পুরোনাম) হযরত শেখ শরফুদ্দীন শাহ বু’ আলী কালন্দর (র.) শাহের মাজার শরীফ বা চিল্লা শরীফ। সত্যিই কালের সাক্ষী হয়ে অতীতের স্মৃতি বহন করছেন। লোক মুখে মাজার হিসেবে প্রতিয়মান থাকলে অনেকের ধারণা এটি বোয়ালখালী কালন্দর’ শাহের সমাধি বা মাজার শরীফ নয়। আসলে এই স্থানটি সেই মহান সাধকের সাধনাস্থল বা চিল্লা শরীফ। ১৩৭.৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বোয়ালখালী ভূ-খণ্ডের ইতিহাস আড়াই হাজার বছরেরও অধিক কালের প্রাচীন এলাকার নদী অংশ ৫.৭৮ বর্গ কিলোমিটার। এলাকার লোক সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষাধিক। প্রতি বর্গ কিলোমিটারের লোক সংখ্যরার ঘনত্ব-১,৪২২ জন। সাক্ষরতার হার-৪৮.৫ শতাংশ এই থানার ঘর বাড়ির সংখ্যা-৩৩,৫১৪টি। ইউনিয়ন সংখ্যা ১০টি। মৌজা ৩৫টি এবং গ্রাম সংখ্যা ৩৪টি এর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট আলোকিত পরিবেশ ও ১নং ইউনিয়ন এবং সুপ্রসিদ্ধ গ্রাম কধুরখীল।
আমরা এই কধুরখীল এলাকা বর্তমান পরিস্থিতিতে যা দেখা যাচ্ছে (ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক) ঘুরে ঘুরে তা পাঠকদের জন্য উপস্থাপনার করলাম। তারপরেও যদি কোন ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস বাদ পড়লে আমরা পুনশ্চ করা আগ্রহে রইলাম-সম্পাদক।

ইতিহাস : হালদার মোহনাস্থ কর্ণফুলীর দক্ষিণ পূর্বসীমা ঘেষে বর্তমান কধুরখীল গ্রাম। এ গ্রাম চারটি অংশ পরিচিত। পশ্চিমকধুরখীল, মধ্যম কধুরখীল ও পূর্ব ও দক্ষিণ কধুরখীল। এ গ্রামের দক্ষিণে গোমদণ্ডী পূর্বে আকুবদন্ডী, উত্তর পূর্বে চরণদ্বীপ ও পোপাদিয়া, উত্তর পশ্চিম “কাইচা” (কর্ণফুলী)। পূর্ব কধুরখীলে হিন্দুদের বসবাস বেশী। পশ্চিম ও মধ্য কধুরখীলে প্রায়ই মুসলমানদের বসতি। জনবসতির সাথে সাথেই কাইচার কুল ঘেষে এ গ্রামে গড়ে উঠে চৌধুরী হাট নামে এক ঐতিহ্যবাহী হাট। নদীপথকে মাধ্যম করে এই হাট পরিণত হয় একটি গঞ্জে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন বেচা কেনার জন্য ছুটে আসতো এ হাটে। বেচা কেনা হয় বিভিন্ন ফসলাদি। এ হাট কত প্রাচীন তা নির্দেশ করে তৎকালিন ফসলের মূল্য। ধান বিক্রয় হতো টাকায় ২৫-৩০ আড়ি।
পূরাতত্ত্ববীদগণের মতে চরণদ্বীপ খরণদ্বীপ কধুরখীল গ্রামসমূহ কর্ণফুলরি নদীর গর্ভে বিলানী ছিলো। পশ্চিমা থেকে আগত ইসলাম প্রচারক মহাত্মা সৈয়দ সাহেব এসে যে স্থানে সর্ব প্রথম পা (চরণ) রাখেন। সে স্থানে নাম করণ করা হয় চরণদ্বীপ। সেখান থেকে আসার পথে যে স্থানে তাঁর পায়ের খরম (জুতা মোবারক) পড়ে যায় এবং কালক্রমে সে স্থানে চর জেগে উঠে, সে স্থানে নাম করণ করা হয় খরণদ্বীপ। এ খরণদ্বীপ বর্ধিত হয়ে বর্তমান কধুরখীল এলাকার সৃষ্টি হয়। এ স্থানটি কখনো অনাবাদী ছিলো। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে/১১২৬ মঘির জরিপের সময় এ স্থানটি জরিপের প্রশ্ন উঠলে কধুরখীল নামে জরিপ হয়। প্রচলিত প্রবাদ আছে “কতদূরখিল” থেকে কধুরখীল নাম হয়। এতে এও শোনা যায় সেখানে মুসলমান নবায়গণ এ স্থানের নাম কধুরখীল দিয়েছিলেন। গৌড়াগত প্রখ্যাত হাতেম মোল্লা বাঁশখালীর রায়ছটা গ্রামে বাস করতেন। তার পৌত্র নজর মোহাম্মদ খাঁন নবাব শায়েস্তা খাঁ থেকে চট্টগ্রামের নানা স্থানে জমিদারী প্রাপ্ত হন। জমিদারীর অংশ বিশেষ প্রাপ্ত হন বর্তমান কধুরখীল গ্রামে। জমিদার নজর মোহাম্মদ খাঁ ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করলে তদপুত্র মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জমিদারীর শাসন কার্য পরিচালনার সুবিধার্থে ১৬৯৫ খ্রিস্টাব্দে এ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। জরিদারের প্রকাশ নাম হল “ফুল গাড়ী খাঁ” তিনি ১৭২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তদপুত্র তাঁর অসাধারণ দক্ষতা ছিল। তিনি শুধু ভাষাবিদ ছিলেন তা নয়, তিনি একজন ন্যায় পরায়ণ ধার্মিক পরহেজগার ছিলেন। লোকে তাঁকে ফকির মুহাম্মদ বলে ডাকতেন। তিনি ও তাঁর প্রকৃত নাম ব্যবহার না করে ডাক নাম-ই ব্যবহার করতেন।
বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ চট্টগ্রামের নানা স্থানে কাজী তথা বিচারক নিযুক্ত করেন। নবাব কর্তৃক কাজী নিযুক্ত হলেন ফকির মোহাম্মদ। ন্যায় বিচার ও কর্মদক্ষতার নৈপূণ্যতা দেখে নবাব তাকে খাঁর বাহাদুর উপাধীতে ভূষিত করেন। এই খাঁ বাহাদুর ফরিক মোহাম্মদ প্রায় ২৯ বৎসর কাজী পদে বিচার কার্যকরে ১৭৫৯ সালে ইন্তেকাল করেন। উল্লেখ্য ফারসী কাব্যের অনুলেখক ছিলেন তিনি। তাঁর অনুলিখিত “মধুমালতী” নামে একটি প্রাচীণ পাণ্ডুলিপি প্রখ্যাত পুঁথি সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরী কাজী সাহেবের উত্তর পুরুষ মৌলভী কাজী ইলিয়াছ (এস/ও চ.বি) থেকে সংগ্রহ করেন। পরে সাত্তার সাহেব থেকে এটি জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান উপসান উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকার লেখালেখি করেন। ১৯৭০ সালে এ পাণ্ডুলিপির সাহায্যে আমীর হামজা বিরচিত “মধুমালতী” কাব্য খানি তারই সম্পাদনায় প্রকাাশিত হয়। এটি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে পাঠ্যভুক্ত রয়েছে। এই মহাজ্ঞানী মহাজনের এক উত্তম পুরুষ হলেন হযরত শাহ সুফী মাওলানা কাজী আব্দুল মজিদ (রহ.) তিনি একজন কবি ও প্রাচীন পুঁথির অনুলেখক ছিলেন।
তার রচিত অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি থেকে নেয়া।
“তাঁর সুত কাজী শেখ মছউদ খান।
সুচরিত গুণসুত ধার্মিক প্রধান ॥
তার তনয় অতি সভার ভাজন।
কাজী মোহাম্মদ আলী ধার্মিক সুজন॥
ধর্ম শিক্ষা বহু দীক্ষা করে সদা দান।
ইসলাম প্রচারে তিনি অতি যতœবান ॥
তাহার তনয় আমি অম্বা জ্ঞাত অতি।
আবদুল মজিদ নাম দীন হীন অতি॥
এই আলেম কবির দ্বারা অনুলিখিত কবি আলাওল বিরচিত ‘সপ্ত পয়কর” কাব্যের একটি পাণ্ডুলিপি পুঁথি-সংগ্রাহক, গবেষক ও লেখক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরীর সংগ্রহে হয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক হামিদুল্লাহ খাঁর সভা কবি ছিলেন। তিনি তাঁর কাব্য গুরু খাঁ সাহেবের আদেশে বিখ্যাত ইরানী কবি জামী বিরচিত “শিরি খোস” কাব্যের বাংলা অনুবাদ করে গেছেন।
“গুরুর আদেশ আর ঈশ্বর ভরসা।
রচিতে পুস্তক মনে করিলাম আশা ॥”
তাঁর জীবনকাল ১৮৫১-১৯১৬ সাল। এ বিখ্যাত কাজী বংশে এক মহিলা কবির জন্ম হয়। তাঁর নাম জমিরুন্নেসা। মহিলা ১৮৯০ সালে একটি কাব্য রচনা করেন। এটির নাম ‘মনিওল বেদাদ’। অর্থাৎ শরীয়ত সম্মত নয়, এমন আচার আচরণ মুসলমানদের অনেকেই ধর্মীয় অনুশাসন হিসেবে বিশ্বাস করেন। এ কাব্যে সে সবই বর্ণিত হয়েছে। এ নবাবিস্কৃত কাব্যের পুঁথি সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরী। তিনি উক্ত মহিলা কবির অনুলিখিত (ক) কবিরাজ বিষয়ক (খ) কবি শাহীদুল্লা বিরচিত তালিব নামা আরো দু’খানা পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন। উল্লেখ্য চট্টগ্রাম মুসলিম সমাজে তিনিই প্রথম মুসলিম কবি। তাঁর এ কাব্যখানি জাতীয় জাদুঘরে স্থান পেয়ে সংরক্ষিত আছে। জমিরুন্নেসা একজন কবি ছিলেন শুধু তাই নয়। তিনি ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা। এ শতকের শুরুতে সরকারি শিক্ষিকা হিসেবে মাসে পাঁচ টাকা মাইনে পেতেন। সম্ভবত তৎকালে তিনি ছিলেন এক মাত্র মুসলিম শিক্ষিকা সমগ্র চট্টগ্রামে।
আঞ্চলিক ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহ করতে গিয়ে মধ্য কধুরখীলের কিছু উপাত্ত আমাদের সংগ্রহে আসে। পূর্বে উল্লেখিত ঐতিহ্যে গড়া চৌধুরী হাটের অনতিদূরে দক্ষিণে দেওয়ান বাগিচা নামে এক প্রকাণ্ড বাগিচার স্মারক চিহ্ন আজো রয়েছে এবং এর পূর্বে রয়েছে বড় পরিমাপের “দেওয়ান ভিটা।” মোগল আমলে মনিরাম দেওয়ানই (১৭১১-২৮) সখ করেই এ ভিটা ও বাগিচা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চকবাজার অলি খাঁ মসজিদের তৎকালিন খতিব বিশিষ্ট আলেম জিম্মি শাহ শরীফ এর দু’গ্র“পের নাম অবগত হই। ১. আহসানুল্লাহ খতীব ও তার ভাই ২. মুন্সী নুরুল্লাহ খতিব।
আহসানুল্লাহ খতীব অলি খাঁ মসজিদের মোতাওয়াল্লী ও খতীব ছিলেন। আর নুরুল্লাহ খতীব মুর্শিদাবাদ নবাবের রাজ মুন্সী ছিলেন। নিঃসন্তান ভাই আহসানুল্লাহ মৃত্যুর কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং শহর ছেড়ে বির্নিত দেওয়ান ভিটার দক্ষিণে পৈতৃক জমিদারী খামার ভিটার বসতি স্থাপন করেন। এখানে নজিরউল্লাহ খতিব তৎপুত্র এজাবত উল্লাহ খতীব, তৎ পুত্র নুরুল হক খতিব, তৎপুত্র আলহাজ্ব অলি আহমদ খতিব (বয়স ৬৫) কে পাই। এই বংশে প্রাবীণ শিক্ষাবিদ আনোয়ার মাস্টার স্মরণীয় ব্যক্তি। ১৯৪৭ সালে স্থাপিত তিনি কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ছিলেন এবং ১৯৫৮ সালে ইন্তেকাল করেন। এদের বাড়িটি নুরুল্লাহ খতিবের বাড়ি নামে সুপরিচিত। উল্লেখ্য পাঁচলাইশ এলাকায় খতিবের হাট ও খতিবের মসজিদ রয়েছে। এ বাড়ি সামনে বড় এক দিঘী রয়েছে। জানা যায় বাঙ্গালী লাল নামে মোগল সরকারের অধিনে চট্টগ্রামে এক (১৭৫৭-৫৮) দেওয়ান ছিলেন। তারসক ছিল চট্টগ্রামের নানা স্থানে দিঘী খনন করিয়ে দেওয়া। এভাবে একদন নুরুল্লাহ খতিবকে বলেন, আপনার বাড়ির সামনে একটা পুকুর খনন করাতে চাই। দিঘীর অধিকারী কিন্তু আপনি। উভয়ের সম্মতিতে দিঘী খনন হল। এ দিঘীর নাম হল লাল দীঘি। কিন্তু লাল থেকে লালা হয়ে লালার দীঘি নামে খ্যাতি হয়ে আসছে।

এ তথ্যগুলো ২০০২ সালে সংগৃহিত। সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে এর পরিধি বাড়বে নেটা স্বাভাবিক। কারো কাছে নতুন তথ্য থাকলে আমাদের ইমেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ রইল- সম্পাদক।

এভাবে ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে আসা কধুরখীল এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় উপসনালয় (মসজিদ অলি-আউলিয়া মন্দির) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ, মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়), সামাজিক সেবামূলক সংগঠনগুলোর নামমাত্র পরিচিতি তুলে ধরলাম।

ধর্মীয় উপসনালয় : (মসজিদ)
কাজী বাড়ী শাহেজামে মসজিদ, স্থাপিত-১৬৯০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা ফকির মোহাম্মদ শাহ কাজী।
শাহ বদিউজ্জামান মুন্সির মসজিদ, স্থাপিত ১৮৭০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
জিন্নাত আলী খলিফার মসজিদ, স্থাপিত-১৮৭০ (শত বছরের উর্ধ্বে), প্রতিষ্ঠাতা-সয়ং।
জান মোহাম্মদ জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯০০ ইংরেজী (আনুমানিক) প্রতিষ্ঠাতা-জান মোহাম্মদ (পশ্চিম শরীফ পাড়া)।
হযরত সাদেক শাহ জামে মসজিদ (বানু ব্যাপারের মসজিদ), স্থাপিত-১৯০০ (আনুমানিক), প্রতিষ্ঠাতা-আলী আহমদ টেন্ডল, ইমাম নগর।
হাজী মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯০৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-স্বয়ং, ইমামনগর।
কুতুব বাড়ি শাহে জামে মসজিদ, স্থাপিত ১৯০৯ ইংরেজী (আনুমানিক)। প্রতিষ্ঠাতা-(অজ্ঞাত)।
আলী হোসেন মতাব্বর জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯১০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত, শরীফ পাড়া।
জাহেদ কাজী জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯১৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-স্বয়ং, ইমামনগর।
মিফতাহুল উলুম জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯২৬ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা অজ্ঞাত।
হাসেম তালুকদার জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯৩৩ ইংরেজী (আনুমানিক), প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত, চৌধুরী হাট সংলগ্ন।
হযরত মজুম সর্দার জামে মসজিদ, স্থাপিত-নব নির্মাণঃ- ১৯৮০ ইংরেজী (আনুমানিক অর্ধশত বছরের পুরানো), প্রতিষ্ঠাতা হাজী মো. আমির আলী, পূর্ব কধুরখীল।
ছমদ আলী বাড়ি জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯৫১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত।
কধুরখীল সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯৭৬ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-হাজী ওন্দামিঞা সওদাগর।
বাইতুর রিদুয়ান, স্থাপিত-১৯৭৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-বদিউল আলম সওদাগর।
কধুরখীল স্কুল মসজিদ, স্থাপিত-১৯৮৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-স্কুল কমিটি।
জামতল ইবাদত খানা ও ছৈয়্যদীয়া ফোরকানিয়া,স্থাপিত-১৯৮৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-ছৈয়্যদ আহমদ।
মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদ, স্থাপিত-১৯৯২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
বদল গোমস্তার জামে মসজিদ, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা- মরহুম বদল গোমস্তার জমিদার।
সাচী গোমস্তার জামে মসজিদ, স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
ছমদ আলী জামে মসজিদ, স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা- অজ্ঞাত।
ডিপুটি পাড়া জামে মসজিদ, স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা- অজ্ঞাত।
পাঠানপাড়া জামে মসজিদ, স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা- অজ্ঞাত।
বদি মুন্সির জামে মসজিদ, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-মরহুম আলহাজ্ব বদিউল আলম (রহ.)।
বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
মধ্যম কধুরখীল জামে মসজিদ, স্থাপিত- অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-মরহুম মোজাহের মিয়া সওদাগর।
চৌধুরী এবাদত খানা, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা- বাজার কমিটি।
শরীফপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদ, স্থাপিত- ২০০১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. আইয়ুব সওদাগর।
বায়তুল মামুন জামে মসজিদ, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা- সম্মিলিত, কধুরখীল।
সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ, স্থাপিত-২০০১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মৌলানা নাজের আলী।

অলি আউলিয়া
কুতুবুল আকতার হযরত মৌলানা শাহ্সুফি আবদুল মজিদ, শাহ্ আলকাদেরী (রহ.) ওফাত-৫ই অগ্রহায়ন।
আমীরে গমগেছার ছখীয়ে দাওয়ান মুরিদের সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহসুফি আলহাজ্ব জাফর আহমদ মুরীরি (রহ.) ওফাত দিবস-১ জিলহজ্ব ১৪১৯ হিজরী ৫ চৈত্র ১৪০৫ বাংলা, ১৯ মার্চ ১৯৯৯ ইংরেজী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৩৩ মি. ইন্তেকাল করেন, পশ্চিম কধুরখীল।
হযরত আহসান উল্লাহ শাহ (রহ.) ওফাত ৮ ফাল্গুন, (ডিপুটিপাড়া)।
হযরত শাহ্সুফি সৈয়দ মৌলানা আবদুল মালেক শাহ (ক.) রাহে ভাণ্ডারী, ওফাত-১৯৮০, মাজার নির্মাণ-সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জামতলী।
হযরত ছাদেক শাহ ফরিক (রহ.), ইমামনগর বেপারীপাড়া পূর্বকধুরখীল, ওফাত-২০ ফাল্গুন।
হযরত করিম উদ্দিন শাহ (রহ.) শরীফ পাড়া, মধ্যম কধুরখীল, ওফাত-২২ ফাল্গুন।
হযরত মুন্দার আউলিয়া (রহ.) ওফাত-৬ ফাল্গুন, মাজার নির্মাণ আহমদ মিঞা ১৯৭৭ ইংরেজী, পশ্চিম কধুরখীর, পাঠান পাড়া।
হযরত আহসান উল্লাহ (প্রকাশ-মামা ফকির), ওফাত-২০ মাঘ, শরীফ পাড়া।
হযরত রহম আলী ফকির (রহ.) মাজার নির্মাণ-৬/৩/১৯৭৭ ইংরেজী পশ্চিম কধুরখীল।
হযরত আব্দুল হাকিম শাহ (রহ.),
হযরত আব্দুল গফুর শাহ (রহ.) মাজার নির্মাণ-কবির আহম্মদ।
খলিফায়ে বাবাভাণ্ডারী হযরত শেখ আবদুল আলীম শাহ (রহ.) ওফাত-২৮ অগ্রাহায়ন ১৩৩৯ বাংলা।
ছমদ আলী বোগদাদী, ওফাত-১৪ই ফাল্গুন, দক্ষিণ কধুরখীল।
[তিনি জাহাজে মিস্ত্রী ছিলেন। একদা তিনি তাঁর হেলপারকে ইঞ্জিন বন্ধ করতে পাঠালে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষণিকের ভিতর ১৮ মাইল চলতেন। তিনি একটি চাটি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে তৈল খোঁজে নিতেন। ১৮ বৎসর বাহুর উপর ভার রেখে ঘুমিয়েছেন। ততকালের মহামারী রোগ আসিয়াছিল। তিনি নিশি রাত্রে গাছপালাকে আঘাত করিয়া দুরু দুরু শব্দ করে তারাতেন (বর্ণক : রহম আলী মুন্সী)।
হযরত খায়রুজ্জামান (রহ.) ওফাত-১৮ ফাল্পুন, মধ্যম কধুরখীল।
হযরত খুলুবাবা (রহ.) ওফাত-২২ ফাল্গুন, মোহাম্মদ হোসেন ডাক্তারের বাড়ি।
উজির আলী শাহ্ (রহ.) ওফাত-১৭ ফাল্গুন।
মাওলানা হাফেজ আলী প্রকাশ কালু গাজী (রহ.) ইমাম নগর।
মৌলানা ঈসমাইল (রহ.) ওফাত-১২ ফাল্গুন।
হযরত খন্দকার শাহ্ (রহ.) ওফাত আনুমানিক শতবছর পূর্বে, বোকার পুকুর।
হযরত রহমত উল্লাহ ফকির (রহ.) ওফাত-২৫ মাঘ। মা ফাতেমা (বিবি দরগাহ), ওরশ-১৫ মাঘ, ইমাম নগর। হযরত হাসমত আলী, ওফাত-৬ অগ্রহায়ণ, শরীফ পাড়া।
মজুমদ্দার (রহ.) ওফাত-১৯৫০ ইংরেজী।

মন্দির
কধুরখীল মিলন মন্দির, স্থাপিত-১৯৪৫ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-প্রণীঘুষন চৌধুরী।
শ্রীশ্রী জগদানন্দ মিশন (আশ্রয়, সমাধি মহাপাঠ), স্থাপিত-১৯২০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী মদ স্বামী বিশ্বেশ্বরানন্দ পুরী।
শ্রীশ্রী রক্ষা কালী বাড়ি, স্থাপিত-১২৫০ বাংলা, প্রতিষ্ঠাতা- অজ্ঞাত, পূর্ব কধুরখীল।
শ্রীশ্রী রক্ষা কালীবাড়ি (দক্ষিণ পাড়া), স্থাপিত-১৯৩৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা শুদর্শন দাশ।
শ্রীশ্রী রক্ষা কালী বাড়ি মন্দির, (পশ্চিম কধুরখীল, মধ্যপাড়া) স্থাপিত-১৩৮৭ বাংলা, প্রতিষ্ঠাতা যুগেন্দ্র লাল দাশ।
জগদ্বাত্রী পূজাবাড়ি, স্থাপিত-১৯৩২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সুধীর বিশ্বাস, পূর্ব কধুরখীল।
কধুরখীল মিলনায়তন, স্থাপিত-১৯৭২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সর্ব সম্মিলিত, মধ্যম কধুরখীল।
কধুরখীল শ্রীশ্রী দুর্গাবাড়ি, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত, খোকার দোকান।
কধুরখীল আনন্দময়ী ধাম (শ্যামা কালী বাড়ি), স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : কলেজ :
কধুরখীল জলিল আম্বিয়া কলেজ, স্থাপিত-১৯৭০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা আহম্মদ জলিল বক্স

মাদ্রাসা :
শরীফপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৪০ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা, সম্মিলিত, পূর্ব কধুরখীল।
বেপারীপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৪৫ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আব্দুল কুদ্দুস গং।
হযরত আহসান উল্লাহ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৫৫ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. আবুল বশর, শরীফ পাড়া।
মোয়াজ্জেম উলুম ফোরকানিযা মাদ্রাসা, স্থাপিত ১৯৬০ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা: (অজ্ঞাত), পশ্চিম কধুরখীল উত্তরপাড়া।
আশরাফ আলী ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৬৬ ইংরেজী। প্রতিষ্ঠাতা মো. সুরুত আলী, শরীফ পাড়া।
ইমাম নগর ইসলামিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৬৮ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী জাকের হোসেন, নাজের দীঘির পাড়।
ছমদীয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৭১ ইংরেজী, মোতায়াল্লী-নজীর আহমদ কোং, দক্ষিণ কধুরখীল।
কধুরখীল ইসলামীয়া সিনিয়ার ফাজিল মাদ্রাসা। স্থাপিত ১৯৭৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা হাজী ওন্দা মিঞা, সওদাগর।
খন্দকিয়া মজিদীয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৮০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত ইমামনগর।
হযরত মজুম সর্দ্দার ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৮২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত, পূর্ব কধুরখীল।
ছমদ আলী বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৮৩ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত।
আলী শাহ বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৮৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আবদুল ওহাব।
বদল গোমস্তার বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-অজ্ঞাত প্রতিষ্ঠাতা-মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
জহির আহমদ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, (পাঠানপাড়া), স্থাপিত-১৯৮৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. নুরুল আমিন।
গাউসিয়া আহমদীয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-আলহাজ্ব কবির আহম্মদ, পশ্চিম কধুরখীল, শিকদারীয়া।
পশ্চিম কধুরখীল কুতুব বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত।
শাহ্ হামিদিয়া রসিদীয়া আদর্শ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, পরিচালনায় : কধুরখীল ইসলামী সমাজ কল্যাণ সমিতি। স্থাপিত সমাজ কল্যাণ ১৯৮১ ইংরেজী, হেফজখানা, ১৯৯২, একাডেমী ১৯৯৬, মধ্যম কধুরখীল।
পশ্চিম কধুরখীল হামেদীয়া মুনীরিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৯১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আলহাজ্ব জাফর আহমদ মুনীরা (রহ.)।
কাজী বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৯২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মাজার পরিচালনা কমিটি।
আলেখখান বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৯২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. নাছের উদ্দিন।
মিফতাজুল উলুম মাদ্রাসা ও হেফজখানা, স্থাপিত-১৯৯২ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা-মাওলানা আলী আহমদ।
বাদামতল ইবাদত খানা (পাঠানপাড়া), স্থাপিত-১৯৯৩ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
তাহফিজুল কোরান মাদ্রাসা ও হাফেজ খানা, স্থাপিত-১৯৯৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. ইদ্রিস, শরীফ পাড়া।
খাজা গরীবে নেওয়াজ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-৯/৭/১৯৯৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আলহাজ্ব মো. নুরুল আলম, শেখবাড়ি, পাঠানপাড়া।
হযরত হাসমত আলী ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-১৯৯৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সম্মিলিত, শরীফ পাড়া।
শাহ বদিউজ্জামান মুন্সির ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং।
বায়েছিয়া আদর্শ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত অজ্ঞাত প্রতিষ্ঠাতা-হাফেজ আজিজুর রহমান, মধ্যম কধুরখীল।

প্রাথমিক বিদ্যালয় :
কখুরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯০৫ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
কধুরখীল হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯১৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা অজ্ঞাত।
পশ্চিম কধুরখীল হাই স্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত-১৯১৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মরহুম আনাউল্লাহ সারাং, প্রধান শিক্ষক আশিষ কুমার চৌধুরী।
কধুরখীল শিকদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯২২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা আবুল বশর চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম।
কধুরখীল রসিক চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯২৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত, প্রধান শিক্ষক এস এম নেজাম উদ্দীন।
কধুরখীল ইমামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯৩১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
কধুরখীল বড়–য়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত- ১৯৩৭ ইংরেজী, নবনির্মাণ-১৯৯৩-৯৪, প্রতিষ্ঠাতা-ডাক্তার বীরেন্দ্র লাল বড়–য়া, প্রধান শিক্ষক-মফিজুর রহমান চৌধুরী।
কধুরখীল পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯৬৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আলহাজ্ব জানে আলম সওদাগর, প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান চৌধুরী।
কধুরখীল কৈবর্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯৭৪ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-শারদা চরণ দাশ, প্রধান শিক্ষক মো. জাকের হোসেন।
কধুরখীল আমজাদীয়া সরকারি প্রাথতিক বিদ্যালয়, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা-তোফায়ের আহম্মদ।
কথাকলি স্কুল স্থাপিত-১৯৯১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মরহুম কামাল উদ্দীন গং, প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ রাধারাণী দাশ।

উচ্চ বিদ্যালয় :
কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯১৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা, এয়াকুব আলী চৌধুরী।
পশ্চিম কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়, স্থাপিত-জুনিয়র-১৯৬৩, হাই-১৯৭০) প্রতিষ্ঠাতা-মরহুম এ এইচ এম মোশারফ হোসেন চৌধুরী, বর্তমান প্রধান শিক্ষক, মো. আবদুর রশীদ।
কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯৪৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মরহুম জনাব আলহাজ্ব মবতুল হোসেন চৌধুরী, বর্তমান প্রধান শিক্ষক-আবুল কালাম আজাদ।
পূর্ব কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়, স্থাপিত-নিু মাধ্যমিক-১৯৪৬ মাধ্যমিক-১৯৯৩, প্রতিষ্ঠাতা-শরত চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক-অরুণ চৌধুরী।
কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, স্থাপিত-১৯৬০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা অজ্ঞাত।

সামাজিক সেবামূলক সংগঠন
কধুরখীল জনসাধারণ পাঠাগার (একটি ক্রীড়া সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান), স্থাপিত-১৯০৮ প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
কধুরখীল মিলনায়তন পূণ্য স্মৃতি, কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপিত-১৩৭৩ বাংলা, প্রতিষ্ঠাতা : অজ্ঞাত।
কধুরখীল সমবায় নিকেতন, স্থাপিত-১৯১৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত।
পথের দাবি ক্লাব, স্থাপিত-১৯৬৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা অজ্ঞাত, মধ্যম কধুরখীল।
কধুরখীল প্রগতি সংঘ, স্থাপিত-১৯৭১ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা ঃ-মৃত আলহাজ্ব সুলতান আহমদ চৌধুরী সওদাগর, রেজি নং-সি/৮০৮/৮০।
অর্নিবান ক্লাব, স্থাপিত-১৯৭৩ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা, অজ্ঞাত, রেজি নং-১১৩৫/৮৫।
অন্বেষা ক্লাব (একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া সংগঠন), স্থাপিত-১৯৮০ ইংরেজী, রেজি নং-১২৫৮, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত, কৈর্বত্যপাড়া)।
পশ্চিম কধুরখীল কিশোর সমবায় সমিতি, স্থাপিত-১৯৮২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-ওবাইদুল হক।
পশ্চিম কধুরখীল সবুজ সংঘ, স্থাপিত-১৯৮৭, প্রতিষ্ঠাতা-আবুল কাশেম। দি ইয়ং জেনারেশন (পাঠানপাড়া), স্থাপিত-১৯৮৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. খুরশেদ।
ফুটন্ত গোলাপ সংঘ, স্থাপিত-১৯৯২ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. মোরশেদুল আলম।
পশ্চিম কধুরখীল পাক পাঞ্জাতন গাউসিয়া কমিটি, স্থাপিত-১৯৯৩ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা, মো. আলমগীর।
স্টার কোচিং সেন্টার, স্থাপিত-১৯৯৪ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আবছার উদ্দীন খালেদ।
সূর্যমুখী পরিষদ (শিশু-কিশোর সংগঠন), স্থাপিত-১৯৯৫ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-খোরশেদ আলম।
পশ্চিম কধুরখীল গ্র্যাটিফাই, স্থাপিত-১৯৯৫ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. ওয়াহিদ।
ওরা ১১ জন স্থাপিত-১৯৯৬ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. ইয়াকুব, মধ্যম কধুরখীল।
ইমাম নগর কিশোর সংঘ একাদশ ক্লাব, স্থাপিত-১৯৯৭ ইংরেজী।
যুব উন্নয়ন সমিতি, স্থাপিত-১৯৯৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত, পাঠানপাড়া।
রেনেসাঁ ক্লাব, স্থাপিত-১৯৯৭ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. লোকমান চৌধুরী, পশ্চিম কধুরখীল।
রংধনু ক্লাব, স্থাপিত-১৯৯৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-তারিকুল ইসলাম, পশ্চিম কধুরখীল।
হকার সমিতি একতা, স্থাপিত-১৯৯৮ ইংরেজী, বর্তমান সভাপতি-মো. ইব্রাহিম, পূর্ব কালুরঘাট।
জেমস্ পরিষদ, স্থাপিত-১৯৯৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা ওমর ফারুক।
কালভার্ট, স্থাপিত-১৯৯৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আসাদ রহমান।
শাহ মজিদীয়া গাউসিয়া কমিটি, স্থাপিত-১৯৯৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. রুবাইয়া খোকন, কাজী বাড়ি, মসজিদ সংলগ্ন।
প্রত্যাশা ক্লাব, স্থাপিত-১৯৯৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. সেলিম, মধ্যম কধুরখীল।
ইসলামিক ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন স্থাপিত- ১৯৯৮ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-আহসান উল্লাহ।
শরীফ পাড়া যুব উন্নয়ন সংসদ, স্থাপিত-২৫/৯/১৯৯৮ ইংরেজী)।
মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি (পশ্চিম কধুরখীল শাখা), স্থাপিত, ১৯৯৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মাহাবুব আলম সওদাগর।
অনিকা কুইন্স, স্থাপিত-১৯৯৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা শাহাদাৎ নুর মিন্টু। হযরত রহম আলী স্মৃতি ছাত্র সংগঠক, স্থাপিত-১৯৯৯ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মো. শাকিল খান।
শাহ মজিদীয়া ইসলামী পাঠাগার, স্থাপিত-২০০০ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা মো. জাবেদ।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি (৩৬ নং শাখা), স্থাপিত-২০০০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ডা. আবদুল হান্নান।
ছমদ আলী মসজিদ গাউসিয়া কমিটি, স্থাপিত-২০০০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা-মো. কামাল উদ্দীন।
ঈমাম আবু হানিফা (রাদি), স্মৃতি সংসদ (একটি ইসলামী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন) স্থাপিত-২০০০ ইংরেজী, প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাকিল শিকদার।
ইয়ং একতা সংঘ, স্থাপিত-২০০১ ইংরেজী প্রতিষ্ঠাতা মো. দেলোয়ার হোসেন, সিফাহি জামে মসজিদ সংলগ্ন।
কাজী নকিব স্মৃতি সংসদ, স্থাপিত-অজ্ঞাত, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক-মোসলেম উদ্দিন আহমদ,পশ্চিম কধুরখীল।
কধুরখীল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত, মধ্যম কধুরখীল। কধুরখীল পোস্ট অফিস, (কোড নং-৪৩৬৮) স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠাতা-অজ্ঞাত, মধ্যম কধুরখীল।
বায়েছিয়া দাতব্য চিকিৎসালয়, স্থাপিত-অজ্ঞাত, পরিচালনায়-কধুরখীল ইসলামী সমাজ কল্যাণ কমিটি।

তথ্য সূত্র : সুবর্ণ স্বাক্ষর-কধুরখীলের ইতিহাস ঐতিহ্য : মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী। মাসিক আলোকিত বোয়ালখালী সংখ্যা (৩) ও ৪। হাজার বছরের চট্টগ্রাম (দৈনিক আজাদী)।

সহযোগিতায়- তৌহিত, তসলিম, জেবল, আশিক।

আলোকিত বোয়ালখালী পত্রিকা ১৯৯৭ সাল থেকে বোয়ালখালীর ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছে একঝাঁক তরুনদের নিয়ে। তারই ফলপ্রসু এ তথ্যগুলো। তাই সূত্র ছাড়া এই তথ্যগুলো কোথাও প্রচার বা প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করা হল।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here