চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে পুরোদমে চলছে প্রচার-প্রচারণা। প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছাতে মরিয়া প্রার্থীরা। চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি অলিগলি। রাত-দিন নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
গণসংযোগ-মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং-পোস্টার ঝোলানোসহ নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে একটি ভিজিল্যান্স টিম ও একটি আইনশৃঙ্খলা অবজারভেশন টিম গত মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে কার্যক্রম শুরু করেছে।
রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণ করাই ভিজিল্যান্স টিমের কাজ। আমার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই টিম থেকে কাজ শুরু করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আচরণ বিধিমালা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, ডিজিএফআই, এনএসআই, আনসার, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও প্রার্থীর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ টিমটিও মাঠে কোনো অনিয়মের খবর পেলে কাজ করবে।’
গত সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপনির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ (নৌকা), দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান (ধানের শীষ),বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ (চেয়ার), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক (আপেল) ও ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর) ।