সারাদেশে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দ্রুত রিলিফ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে এই রিলিফ কমিটিকে অসহায় দরিদ্রদের মাছে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা ও সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন। গণভবন থেকে ডিভিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজের ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত নেতাদের এ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এ বিষয়টি জেলা নেতাদের জানিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
পরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, সেসব অভাবী, দরিদ্র, অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে এই কমিটি। পরে প্রশাসন এই তালিকা আবার যাচাই-বাছাই করবে। তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে দল-মত নির্বিশেষে যারা প্রকৃত অর্থে ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য, তারা যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই তালিকাতে যেন কোনো দলীয়করণ না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অতি দ্রুতই এই তালিকা করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি তালিকা করা হবে, তত তাড়াতাড়ি ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের ত্রাণ প্রস্তুত আছে। যত দরকার দেওয়া হবে। যত দ্রুত তালিকা করা হবে, তত দ্রুত ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতি যত দিন চলবে, যতদিন প্রয়োজন হবে, রিলিফ দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষকে সরকারি রেশন কার্ডের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও ৫০ লাখ মানুষের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আগামীতে এদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এ সময় ধানমন্ডির কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।