অনলাইন ডেক্স : গত দুইদিন ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে তপ্ত দুপুরে ! আজ বৃহস্পতিবারও (১৩ জুন) একই অবস্থায় রয়েছে গরম। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ঢাকার আকাশে থাকবে মেঘ। তবে গরমের তেমন কোনো হেরফের হবে বলে মনে হচ্ছে না-তাপপ্রবাহের সৌজন্যে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের একটিা বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসরও হয়েছে।
এসবের কারণে দেশের রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আর গরমের কথা যদি বলি তাহলে রাজধানী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, দিনাজপুর ও নীলফঅমারী অঞ্চলসহ রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু একটা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দুই এক জায়গায় সেটা কমবে। কিন্তু গরম একেবারে কমে যাবে না।
উপগ্রহ যে তথ্য পাঠাচ্ছে সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে সেই বৃষ্টিতে শরীর কতটুকু জুড়াবে তা বলা যাচ্ছে না।
ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্র থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু সেটা মনে হবে যেন ৪৩ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি, তবে সেটাও মনে হবে ৩৪ ডিগ্রির মতো।
গোটা বিশ্ব জুড়ে এ বছর তাপপ্রবাহ। গত বছর উত্তর গোলার্ধের একটা বিরাট অংশ তাপপ্রবাহে ঝলসে গিয়েছিল। এ বার পৃথিবীর সর্বত্রই একই পরিস্থিতি। গত সোমবার নয়াদিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জুন মাসের প্রেক্ষিতে যা রেকর্ড। উত্তর গোলার্ধের তুলনায় পিছিয়ে নেই দক্ষিণ গোলার্ধও। গত সোমবার আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। গত মে মাসে শেষার্ধে জাপানের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত একটি জার্নালে সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মানুষের কৃতকর্মের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তার ফলে দহন মহামারীর আকার নিয়েছে। ওই নিবন্ধটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী বছরগুলিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার বজায় থাকবে।
আবহ বিজ্ঞানীদের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে ওই জার্নালে বলা হয়েছে, এটা জলবায়ুর ‘নতুন যুগ’-এর সূচনা। আগামিদিনে তাপপ্রবাহের প্রকোপ ও তীব্রতা আরও বাড়বে। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘‘এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বাস্তুতন্ত্র এবং সমাজ জীবনে।’’
রোদ আর গরমের দিনে সবাই সুস্থ থাকুন।