No description available.দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু

কাসাভা হলো উষ্ণমন্ডলীয় আলুজাতীয় ফসল। আফ্রিকায় জনপ্রিয় এ কাসাভা খাবারের অন্যতম প্রধান উপাদান। সারাবিশ্বে এ কাসাভার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। অর্থকরী এ ফসলের কন্দকে ‘শিমুল আলু’ বলে গ্রামের মানুষ। গাছটির পাতা অনেকটা শিমুল গাছের মতো বলেই হয়তো এরকম নাম।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পাহাড়ের এক একর জায়গায় কাসাভার চাষ করেছেন জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের মো. নাছের।

গত ডিসেম্বর মাসে উপজেলা কৃষি অফিস নাছেরকে উন্নত জাতের ৩ হাজার কাসাভার কাটিং দেয়। আগামী ডিসেম্বরে তোলা হবে এ ফসল। নাছের বলেন, ‘প্রায় ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে কাসাভার চাষে। এ ফসলটির বিষয়ে আমার তেমন কোন ধারণা ছিলো না । কাসাভা গাছের বাড়বাড়ন্ত দেখে মনে হচ্ছে ফলন ভালোই হবে। যদি তিন টন ফসলও পাই, কেজি প্রতি ১০টাকা করে ৩লাখ টাকা আয় হবে।’

No description available.উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ে কাসাভার প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। প্রতি গাছে ১৫-১৮ কেজি ও একরে ৬-৭টন কাসাভার ফলন পাওয়া যায়। এর পাতা ও অবশিষ্ট অংশ দিয়ে জৈব সার হয়।

তিনি জানান, কাসাভা থেকে উন্নত মানের স্টার্চ (শ্বেতসার) হয়। কাসাভা দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি ছাড়াও কাসাভার আটা দিয়ে রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপর, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়।

কাসাভা আলু যেমন সিদ্ধ করে খাওয়া যায়, তেমনই তরকারি করে মাছ-মাংসের সাথে খাওয়া যায়। এছাড়া কাসাভা থেকে উৎপাদিত স্টার্চের বড় আকারের ব্যবহার রয়েছে বস্ত্র ও ঔষুধ শিল্পে। অন্যান্য আলুর তুলনায় কাসাভা অনেক বেশি পুষ্টিকর।

বোয়ালখালীতে এ কাসাভা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেশের ঔষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প কারখানার স্টার্চ ও সুক্রোজের চাহিদা মেঠাতে পারে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

বিস্ময়ের নাম কাসাভা আর আবর্জনাও ফেলনা নয়

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here