বিনোদন রির্পোট

বাংলা নাটকের সব সময়ের সেরা অভিনেতাদের একজন আসাদুজ্জামান নূর। ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে তার করা ‘বাকের ভাই’ চরিত্রটি দেশীয় নাটকের ইতিহাসে অন্যতম এক মাইলফলক। সিনেমায় অভিনয় করেও ছড়িয়েছেন দ্যুতি। আবৃত্তি শিল্পী হিসেবেও তিনি নন্দিত। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ এবং রাজনৈতিক ভূমিকা সব মিলিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) এই কিংবদন্তি অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৪৬ সালের এই দিনে ব্রিটিশ ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ পা দিলেন ৭৬-এ।

আসাদুজ্জামান নূর বেড়ে উঠেছেন বাংলাদেশের নীলফামারীতে। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সশরীরে অংশ নিয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধেও। এছাড়া স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।

জীবনকে কীভাবে দেখছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘জীবন মানে আমি বুঝি কর্ম। একেক মানুষ একেকরকম কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন। কেউ কবিতা লেখেন, কেউ কারখানায় কাজ করেন, কেউ জমি চাষ করেন, কেউবা ছবি আঁকেন। আমি অভিনেতা হয়েছি। অভিনয় করেছি। দিন শেষে জীবন খুবই আনন্দময়।’

রাজনীতির পাশাপাশি থিয়েটার ও আবৃত্তি চর্চায় যুক্ত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর নাম লেখান টিভি নাটক ও সিনেমায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’, ‘বহুব্রীহি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘আজ রবিবার’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘নক্ষত্রের রাত’ ইত্যাদি।

এছাড়া তিনি বেশ কিছু নন্দিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যেমন; ‘দহন’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।

বর্তমানে তিনি নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পেয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here