লাইফ ষ্টাইল ডেক্স: প্রকাশ: ০৯-১২-২০২০
আপনার রান্নাঘরে একটা গ্যাস সিলিন্ডারকতদিন চলবে তার একটা ধারণা আমাদের সকলেরই আছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত, বাড়িতে কত রান্নাবান্না হচ্ছে বা কী ভাবে রান্না হচ্ছে, এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে যে একটা গ্যাস সিলিন্ডার কতদিন চলবে। বর্তমানে এই অগ্নিমূল্যের বাজারে গ্যাসের দাম একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ায়, মাস শেষে সকলের এক চিন্তা কাজ করে। এই বুঝি গ্যাস ফুরিয়ে গেল! আর রান্নার মাঝে এমনটা হলে ঝক্কি কম হয় না। গৃহস্থের কপালে ইতিমধ্যেই ভাঁজ বাড়িয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। সংসার খরচের পাল্লায় রান্নার গ্যাসের জন্য বরাদ্দ গুণতে হচ্ছে বেশ মোটা টাকার। ভর্তুকি বাদ দিয়েও মূল অঙ্কটা খুব কম নয়। তা ছা়ড়া ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢোকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে। কিন্তু সিলিন্ডার কেনার সময়ে এককালীন পুরো টাকাটা বার করতে হয় গৃহস্থকেই। ইতিমধ্যেই অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্তর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে মহার্ঘ জ্বালানি।
কিন্তু সিলিন্ডারে আর কতটা গ্যাস রয়েছে তা বুঝবেন কী করে?
আমরা অনেকেই সাধারণত, সিলিন্ডারের ওজন দেখে বা হাতে তুলে ধরে বোঝার চেষ্টা করি, কতটুকু গ্যাস বাকি আছে! কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হওয়া যায় কি? একটা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সহজেই বোঝা সম্ভব যে, সিলিন্ডারে আর কতটা গ্যাস বাকি রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
• প্রথমে একটা ভিজে কাপড় দিয়ে সিলিন্ডারটিকে খুব ভাল করে মুছতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, সিলিন্ডারের গায়ে যেন কোনও ধুলোর আস্তরণ না থাকে।
• সিলিন্ডার মোছা হয়ে গেলে ২-৩ মিনিট পর দেখা যাবে, সিলিন্ডারের কিছুটা অংশ শুকিয়ে গিয়েছে, বাকি অংশ ভিজে রয়েছে।
• সিলিন্ডারের যে অংশটা শুকোতে বেশি সময় নিচ্ছে, সেই অংশেই গ্যাস রয়েছে। আর যে অংশটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গিয়েছে, সেটিতে গ্যাস নেই! এর কারণ হল, সিলিন্ডারের যেখানে তরল রয়েছে, সেখানকার তাপমাত্রা খালি জায়গার তুলনায় কিছুটা হলেও কম হয়। ফলে সিলিন্ডারের যে অংশে গ্যাস রয়েছে, সেই অংশে তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য শুকোতে বেশি সময় লাগে। তাই এখন থেকে সিলিন্ডারে ঠিক কতটা গ্যাস রয়েছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে, নিজেই দেখে নিন।
সুতরাং, দুশ্চিন্তা করার আর প্রয়োজন নেই। সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে নিজেই দেখে নিন।