আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুজিব বর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে উৎসর্গীকৃত অনুষ্ঠানমালা পারর্কী সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন উদ্যানে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। সন্দীপনার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে ৫ দিন ব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন- সাবেক সহকারী জজ মনজুর মাহমুদ খান। জাতীয় পতাকা ও সংগঠন পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও একুশের গান গেয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। দিবসের কর্মসূচির মাঝে ছিল কর্মসূচির উদ্বোধন, আলোচনা সভা, শিশু-কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সুন্দর হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতা, “ সকল শিশুর প্রাণে জাগুক জাতির পিতার স্বপ্ন গুলো” শীর্ষক ছড়া-কবিতার আসর, প্রভৃতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন পরিষদ-২০২০ এর আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাপানের অনারারি কন্সুলার মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, চ.বি অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া, সিএমপি পুলিশ এর সাবেক এডিসি কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সংস্কৃতিকসেবী হাবিবুর রহমান, সন্দীপনার জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ, সংগঠক জসিম উদ্দীন চৌধুরী, সংগঠক তাজুল ইসলাম রাজু, প্রধান শিক্ষক তরণী কুমার সেন, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, নাট্য কর্মী জাহানারা পারুল, কবি প্রকৌশলী অনিত কুমার নাথ, কবিয়াল আব্দুল লতিফ, আই.টি ইঞ্জিনিয়ার অনিত কুমার নাথ, নাট্যকর্মী এমরান হোসেন মিঠু, আইটি এক্সাপার্ট ধনঞ্জয় শর্মা, নাট্যকর্মী মোঃ রাশেদ, সংগঠক শাহীন হোসেন, আবৃত্তি শিল্পী কাজলী আক্তার, নাট্যকর্মী জাহানারা পারুল, চলচ্চিত্র শিল্পী জাবের হোসেন, সংগীত পরিচালক ইমরান ফারুকী প্রমুখ। শুরুতে স্বাগত ভাষন রাখেন সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাষ্কর ডি.কে.দাশ (মামুন) প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হলে তাঁর স্বপ্ন গুলো শিশু মনে বপন করে দিতে হবে। একমাত্র সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে এটি সম্ভব। সর্বস্তরের বাংলা ভাষার জন্য জোরালো ভাবে অবস্থান গ্রহণ না করলে তা কখনো কার্যকর হবার নয়। বর্তমানে বাংলা ভাষা আন্তজার্তিক মাতৃভাষার মান পেয়েছে। সেই গৌরব অক্ষয় করতে আমাদের ভুমিকা রাখতে হবে। দেশের সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের নাম ফলক, অফিস আদালতের ফাইলপত্র, শিক্ষাক্ষেত্রে সকল প্রকার বইপত্র, বাংলা ভাষায় লিপিবদ্ধ করতে সরকারী উদ্যোগ আবশ্যক। তরুণ প্রাণে নবীন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে মেধা ও মননকে যথাযথ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রযুক্তি বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন আধুনিক বাংলাদেশ রচনার উদ্গাতা বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন সেই আলোকময় পথে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তা না হলে শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি চর্চায় এক বিশাল শুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়বে আগামীর প্রজন্ম । বক্তারা আরো বলেন, সন্দীপনা বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ বেলা ভুমিতে ২১ শের কর্মসুচীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র বিজয়কে হৃদয়ে ধারণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইল ফলক স্থাপন । অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন- বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী এম.এ হাশেম, মুসলিম আলী জনি, শিল্পী শিউলী চৌধুরী, শিল্পী উজ্জ্বল সিংহ, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, শিল্পী দেবাশীষ রুদ্র, শিল্পী সমীর চন্দ্র সেন, নাট্যকর্মী সাগর দেবনাথ, ইমন বিশ্বাস, কবি তাহেরা খাতুন, রবিন চৌধুরী, শিল্পী জ্যোতি শর্মা, মৈত্রী আচার্য,একরামুল হোসেন, সুফাইদা জান্নাত খুকি, সিনথিয়া তাবাসুম ঋতু, ভাস্কর শিল্পী শংকর দাস, শাহীনুর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ রিমন, হাসনাত শিহাব ও মোশারফ হোসেন খান রুনু প্রমুখ।