প্রতিনিধি,
বোয়ালখালীতে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরে উঠছে ক্ষেত। শীতের শুরুতে বাজারে আসতে শুরু করেছে কৃষকের এসব শাক সবজি। আগাম চাষ করায় শাকসবজির ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চলছে আমন ধান কাটা। পাশাপাশি ন্যাড়া জমিতে তৈরি করা হচ্ছে শাকসবজির বেড। অনেক জমিতে ধান চাষ হয়নি। সেই সব জমিতে হয়েছে আগাম সবজির চাষ। ধনিয়া পাতা, লাল শাক, কপি শাক, রাই শাক, মূলা শাক, পালং শাক, বাধাকপি, ফুলকপি, মূলা, স্কোয়াশ, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, শিম, বেগুন, টমেটো, বরবটিসহ বিভিন্ন শাকসবজির চারা ও বীজ লাগাতে কৃষকদের ব্যস্ততা দেখা গেছে।
এসময় কথা হয় খরণদ্বীপ এলাকার কৃষক রূপক দে’র সাথে। তিনি ১ একর জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। এক-দেড় মাসের মধ্যে ফলন বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। ৪০ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন শ্রীপুর গ্রামের যুবক মো. আকতার হোসেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায় অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে রোপণ করেছেন এ বিদেশি সবজি স্কোয়াশের ১৮০০ চারা।
চাষী আকতার হোসেন বলেন, গত বছর অল্প কিছু জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গিয়েছিলো। এবার ব্যাপক আকারে স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়েছি। প্রায় এক ফুট লম্বা একেকটি স্কোয়াশ ২-৩ কেজি ওজনের হয়। বাজারে স্কোয়াশ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে সবজি বাজারে তুলতে পারবেন। শাক বিক্রি করে ইতিমধ্যে চাষের খরচ পুষিয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সুবল দে ও ঝুন্টু দে।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র দে জানান, সবজি চাষীদের বিষমুক্ত ও রোগবালাই দমনে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এখনো জমিতে আমন ধান রয়ে গেছে। আমন উঠে যাওয়ার পর আরো ব্যাপকভাবে শাক সবজির চাষ হবে বোয়ালখালীতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ জানান, এবার শাকসবজি আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১হাজার ১শত ৮০হেক্টর জমি। ইতিমধ্যে ৩০৪ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শাকসবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।