প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা পৃথিবীই অন্ধকারে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এজন্য প্রত্যেক দেশকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৭০টি দেশের ৯০ হাজারের মতো মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার একশ’ ছাড়িয়েছে। ভারতের দিল্লি এবং তেলেঙ্গানায় শনাক্ত হয়েছে নতুন রোগী।
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার প্রতিদিনই বাড়ছে দাবি করে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, কমছে মৃত এবং আক্রান্ত হওয়ার গতি। প্রতিষেধক আবিষ্কারে কাজ চলছে বেইজিং-এর দু’টি গবেষণাগারে।
তবে চীনের বাইরে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন দেশে শনাক্ত হচ্ছে আক্রান্ত। ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং তেলেঙ্গানায় মিলেছে রোগী। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজার। ইরানে সরকারি হিসেবেও বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। মারা গেছেন ইরানি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মীর মোহাম্মদী।
পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা জানিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, এটি একদমই ব্যতিক্রমী একটি ভাইরাস, যাকে ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। প্রতিনিয়তই ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। তাই বলা যায় আমরা পুরোপুরি অন্ধকারে আছে। এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। তাই পুরো বিশ্বকেই সতর্ক হতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান এবং জাপানে করোনা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।