বিভাগের সম্পাদক
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুলাই। তাকে হারানোর শোক বুকে নিয়ে আজও কাঁদে বাংলা সাহিত্যের অনুরাগীরা। কাঁদে নাটক-সিনেমার আঙিনা।
নন্দিত লেখক ও নির্মাতার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তারই হাতে তৈরি করা নুহাশ পল্লী সেজেছে বিষাদের সজ্জায়। তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনায় নেয়া হয়েছে বেশি কিছু আয়োজন।
থাকছে কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। নুহাশ পল্লীর আশপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র, পরিবারের সদস্য এবং হুমায়ুন আহমেদের ঘনিষ্ট কয়েকজন লেখকসহ পাঁচ শতাধিক লোককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, ‘শুক্রবার সকাল থেকে আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা নুহাশ পল্লীতে কোরআন তেলাওয়াত করবে। পরে তারা কবর জিয়ারত ও দোয়ায় অংশ নেবে। ওই দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নুহাশ পল্লীতে পৌঁছাবেন।
এছাড়া কথা সাহিত্যিকের পরিবারের লোকজন, ভক্ত, বন্ধুরা কবর জিয়ারত ও মিলাদে যোগ দেবেন।’
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থি নুহাশ পল্লীতে আসবেন। বিশেষ করে হুমায়ূন ভক্ত তরুণ প্রজন্মের অনেক শিক্ষার্থি থাকবেন।
ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল আরো বলেন, ‘মৃত্যুার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়েছে। এতিম শিশু ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অতিথি, এলাকার লোকজন ও হুমায়ুন স্যারের পরিবারের লোকজন থাকবেন।
শুক্রবার ভোরে হুমায়ুন স্যারের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নুহাশ ও তার সন্তানরা নুহাশ পল্লীতে আসার কথা রয়েছে। দিনটি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালন করা হবে।’
উল্লেখ্য, জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালি গ্রামে তার নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশ পল্লীতে সমাহিত করা হয়।
এবি/টিআর ১৯-৭-২০১