নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক লকডাউন অমান্য করে পুরো পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ২০ কিলোমিটার ঘুরে বেড়িয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে তিনি নিজেকে ‘ইডিয়ট’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, সামগ্রিক সংকট বিবেচনায় ওই পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়নি। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ এর গণসংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের ২৫ তারিখ থেকে নিউজিল্যান্ডে চতুর্থমাত্রার লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন বলেছেন, সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতেই আমরা সবাইকে বাড়িতে অন্তরীণ থাকার পরামর্শ দিয়েছি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়াকে নিরুৎসাহিত করেছি। মন্ত্রীদের জন্যও নির্দেশনা একই রকম।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ককে বরখাস্ত না করা হলেও, তার পার্লামেন্টারি র্যাংক নিচে নেমে গেছে এবং সহকারী অর্থমন্ত্রীর অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক বিবিসিকে জনিয়েছেন, এই লকডাউনে যেহেতু সকল নাগরিককে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই তার উচিত ছিল নিয়ম মানার ক্ষেত্রে নিজেকে একটি উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করানোর। কিন্তু সে একজন ইডিয়ট। তাই আইন অমান্য করেছে।
প্রসঙ্গত, চীএর হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ এ নিউজিল্যান্ডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন সহস্রাধিক এবং মৃত্যু হয়েছে একজনের।