May be an image of tree and outdoorsইতিহাসের পাতা থেকে সংগৃহীত- সৌজন্যে: পংকজ চক্রবর্তি,সভাপতি বীরকণ্যা প্রীতিলতা ট্রাস্ট
May be an image of 1 person and text that says 'ভারতের সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম একজন বিশিষ্ট নেতা, চট্টগ্রাম বিদ্রোহের মহানায়ক, স্বাধীন চট্টগ্রামের মুক্ত বিপ্লবী সাময়িক সরকারের প্রধান মাষ্টারদা সূর্য সেন জন্ম ২২শে মার্চ, ১৮৯৪ ফাঁসি ২ই জানুয়ারী, ১৯৩৪'
বিপ্লবের মহানায়ক মাষ্টার দা সূর্যসেনের প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধা- ১৮ই এপ্রিল ১৯৭৫ সাল।
May be an image of 1 person and text that says 'বিপ্লব আনন্দ'চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক জে.এম.সেন হল প্রাঙ্গনে ১৯৭৫ সালে’র ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম বিপ্লবতীর্থ স্মৃতি সংস্থা কলকাতার উদ্যোগে মাষ্টার দা সূর্যসেনের ব্রোঞ্জের আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপিত হয়। মাষ্টার দার এই ভাষ্কর্য ভারত থেকে আনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন, জে. এম. সেন হলে স্থাপন, অনুষ্ঠানমালা এই ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার সংঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সে আলোকে ১৯৭৫ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি ঢাকা গণভবনে অগ্রগামী দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিপ্লবী
No photo description available.কল্পনা দত্ত জোশী। সরাসরি রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকের ফলস্বরূপ ভারত থেকে মাষ্টার দা সূর্যসেনের ভাষ্কর্য আনার ক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি লাভ করেন। এ ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝে নিতে পারি, বিপ্লবী মাষ্টার দা সূর্যসেনের প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ কি পরিমাণ ছিল।
May be an image of text that says 'அமக আাংলা BY BAG MINISTRY FOREIGN AFFAIRS OVERNMENT PEOPLE'S REPUBLIC BANGLADESH DACCA সরকার No.Ind-Cul-1/73/301-84 December 19,1973. Dear Chancery, ar to Mr. Ruhul Quddus Principal Secretary to the Prine Please refer to the Dy.High No.DHC-1/73(8) dated the 7th Noverber, 973,addressed bul Minis ter enclosing therewith tHE letter of the Surjya Sen Memorial Statue Cormi ttee. letter from the President The Prime Minister has been pleased to agree to the suggestion 最 to the placing bust of Surjya Sen at J.M.Sen Hall,Chittagong. Thís is for your information and necessary action. Yours evar, Minis Dy.High Commission for Bangladesh, Calcutta.'এখানে উল্লেখ্য যে, ভারত থেকে মাষ্টার দার ভাষ্কর্য ও অন্যান্য সামগ্রী আনায়নে বাংলাদেশ বিমান কতৃপক্ষ কোনো অর্থ গ্রহন করে নি। পরবর্তী ১৯৭৫ এর জাতির জনকের হত্যা বিপ্লবীদের ইতিহাস সহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক অধ্যায়ে রূপ নেই। এখন সময়ের দাবি জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদাত্ত আহবান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি এই বাংলার ই সন্তান বিপ্লবী মাষ্টার দা সূর্যসেন সহ সকল বিপ্লবীর স্মৃতি সংরক্ষণের দাবির প্রতি আপনার অকুন্ঠ সমর্থন আমাদের আশা জাগাবে।
May be an illustration of 2 people and text that says 'বিবাহ পরবর্তী পি. সি. জোশী ও কলপনা জোশী'
May be an image of 1 person and text that says 'জেল-মুক্তির পর চিঠির প্রত্যুত্তরে তোমার চিঠিখানি পেয়ে খুশি হলুম অনেকদিন পরে মুক্তিলাভ করেছ -এখন দিনে দিনে শান্তি শক্তি লাভ কর এই কামনা করি দেশে অনেক কাজ আছে, যা অচঞ্চ ল সমাহিত চিত্তে সাধন করবার যোগ্য, দুঃখ ভোগের অভিজ্ঞতা তোমার জীবনে পূর্ণতা দান করুক, এই আমি আশীবাদ করি শুভৈষী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্মে তুমি আমার মেয়ে ছিলে। আজবুড়ো বুড়ো বয়সে তুমি আমার মেয়ে আমার মানুষকে মধ্যে মধ্যে ভুলো'
May be an image of 1 person and text that says 'কল্পনা জোশী'
No photo description available.
No photo description available.
অগ্নিযুগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন-
‘জগতের যত বড় বড় জয়
বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে
হইয়াছে মহীয়ান।
কোন রণে কত খুন দিল নর
লেখা আছে ইতিহাসে
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর
লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি
কত বোন দিল সেবা
বীরের স্মৃতি স্তম্ভের গায়ে
লিখিয়া রেখেছে কেবা?’
মাষ্টারদা সূর্যসেনের জীবনসঙ্গিনী পুষ্পকুন্তলা-
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার ঐতিহ্যবাহী দত্ত পরিবারের কন্যা পুষ্পকুন্তলা। পিতা নগেন্দ্রনাথ দত্ত।
পারিবারিকভাবে বিয়ের চাপ থাকায় শুধুমাত্র লোক দেখানো ১৯১৯ সালে ১৬ বছরের তরুণী পুষ্পকুন্তলাকে বিয়ে করেন মাষ্টারদা সূর্যসেন। বিয়ে হলেও বাসর রাত হয়ে উঠলো বিচ্ছেদের রাত। কারন বিপ্লবী তাঁর দলের কাছে সন্ন্যাসব্রত অর্থাৎ মৈথুনবর্জিত জীবনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। সূর্য সেন তাঁর বাসররাতে পুষ্পকুন্তলাকে বললেন, তাঁর বিপ্লবী দলের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর জীবন স্ত্রীসঙ্গ-বর্জিত। চরম হতাশা গ্রাস করে এই তরুণীকে। বাসর রাতের দু-একদিন পরই চলে যান সূর্য সেন;
বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে জেলে যান। তারপর পুষ্পকুন্তলার শুধুই স্বামীর প্রতীক্ষা। ৯ বছরের বিবাহিত জীবনে মাত্র তিনবার স্বামীর দেখা পান পুষ্পকুন্তলা, তিনবারই ব্যর্থ হন স্বামীর গভীর সাহচর্য থেকে। তারপরও স্বামীর বিপ্লবী কর্মকাণ্ড তাঁকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করেছিল তাঁর সহযাত্রী হতে। টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর কোলে মাথা রেখে পুষ্পকুন্তলার মৃত্যু হয়।
(লেখাটি ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত অংশমাত্র, নিম্নে মাষ্টারদা সূর্য সেনের চট্টগ্রাম জেল থেকে তাঁর বৌদির কাছে হস্ত লিখিত দুটি চিঠি সংযোজন হল)।
No photo description available.
বিপ্লবের মহানায়ক মাস্টার দা সূর্য সেনের শেষ কথা এবং শেষ বাণী –
১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিট পটিয়া ধলঘাট গৈড়ালা গ্রামে আত্মীয় বৃদ্ধা ক্ষীরোদ প্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রিত অবস্থায় ১০ হাজার টাকার লোভে বিশ্বাসঘাতক নেত্র সেন (পরে বিপ্লবীরা তাকে হত্যা করে) ব্রিটিশ সৈন্যদের কাছে মাস্টার দা সূর্য সেনকে ধরিয়ে দেন। ধরা পরার আগে সহযোদ্ধাদের আলাপ চারিতাই মাস্টার দার শেষ কথা বিপ্লবী মণি দত্তের বক্তব্যে থেকে –
মাস্টার দা বিভিন্ন সময়ে মনের বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা প্রকাশ করতেন বিভিন্ন কবি,সাহিত্যিক বা নিজের লেখার উদ্ধৃতি দিয়ে সেদিন ও ঘটেছিল তাই…তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁর মৃত্যু কিভাবে হওয়া উচিত? কাগজে লিখলেন – Suicide, Surrender,Hanging with bold statement.
প্রথম দুটি শব্দ তিনি বারে বারে কাটলেন, বললেন “এ আমার পক্ষে সম্ভব নয়,Escape করার সম্ভাবনা নিশ্চয় গুলি ছুঁড়ে পথ করে নেওয়ার চেষ্টা করব। সামনাসামনি গুলি বিনিময় করে আমাকে হত্যা করার সুযোগ আমি দেব না। এভাবে ব্রিটিশের বেতনভুক্ত পুলিশের হাতে গুলি খেয়ে মরার চেয়ে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার জয়গান করে যাওয়ায় শ্রেয়। এতে যদিও সহ্য করতে হয় শারীরিক ও মানসিক হিংস্র নিপীড়ন,তবুও যাওয়ার আগে শুনিয়ে যাওয়া যায় বিপ্লবের মর্মবাণী;ছড়িয়ে দেওয়া যায় অন্তরের আগুন ;দেশের লোকেরা পায় এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা আর শাসকদের হয় রাজ্য হারাবার ভয়ে মানসিক যন্ত্রণা”।
May be an image of text
May be an image of map
চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ১৮ই এপ্রিল ১৯৩০ সাল রাত ১০টা থেকে ২২ই এপ্রিল মধ্যরাত।
“সি আর বি হবে মাস্টার দা সূর্য সেন চত্বর “(প্রস্তাব)
আমরা চট্টগ্রামবাসী গর্বিত এবং সৌভাগ্যবান ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে যে স্বাধীনতা তারই সাথে ১৯৩০ সালে ১৮ এপ্রিল রাত ১০ টা থেকে ২২ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত মাস্টার দার নেতৃত্বে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যে যুব বিদ্রোহ প্রায় ৫ দিন তৎকালীন ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মি চট্টগ্রাম শাখা প্রথম স্বাধীন অস্থায়ী জাতীয় সরকারের অধীনে চট্টগ্রাম স্বাধীন ছিল, এই বিশেষ ৫ দিন স্বাধীনতা অর্জনকারী হিসেবে দীর্ঘদিন পরে হলেও তারই স্বীকৃতি স্বরূপ যেহেতু চট্টগ্রাম শহরে বিপ্লবীদের নামে বড় কোন স্থাপনার নামকরণ হয়নি,তাই আগামী প্রজন্ম ইতিহাস লিখতে বর্তমান প্রজন্মকে যাতে দায়ী না করে তা থেকে মুক্তি পেতে “সি আর বি” তে সামান্য একটি ফলকে মাস্টার দা সূর্য সেন চত্বর লিখে এই দায় এড়াতে পারি।
No photo description available.
কেন আমরা ভুলতে বসেছি, বিপ্লবের চারণভূমি সিআরবি! বিপ্লবের মহানায়ক মাস্টার দার নেতৃত্বে অস্ত্র কেনার জন্য রেল কর্মচারীদের বেতনের ১৭ হাজার টাকা লুন্ঠন করে কলকাতা পাঠিয়েছিল। বীরকন্যা প্রীতিলতার নেতৃত্বে পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমনের ঘটনা, টাইগারপাস থেকে ছদ্মবেশধারী কল্পনা দত্ত ধরা পরা, সে অগ্নিযুগে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল রেল। এই রেলে বিপ্লবীরা ছদ্মবেশে কত গোপন আক্রমণ শাণিত করেছেন। সিআরবির রাস্তা, পাহাড়ে বিপ্লবীদের কতশত পদচিহ্ন বিরাজমান, তা ইতিহাসবিদরা কান পাতলেই এখনো পায়ের আওয়াজ শুনতে পাই। এসব বিপ্লবীদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ সংরক্ষণ তো দুরে থাক, মুছে ফেলার প্রতিযোগীতায় নেমেছি আমরা। তাই বর্তমান চলমান আন্দোলন থেকে দাবি উঠুক, সিআরবি হবে বিপ্লবের মহানায়ক “মাস্টার দা সূর্যসেন চত্বর”।
No photo description available.
May be an image of 4 people
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here