সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তাঁর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণের মূর্ত প্রতীক হিসেবে প্রেরণ করেছেন। জ্ঞান প্রজ্ঞার গভীরতায় ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার দৃঢ়তায় যিনি নবীজির সাহাবীদেরকে তাঁর পদাঙ্ক অনুসারী হিসেবে মনোনীত করেছেন। যাঁরা আল্লাহর পথে সত্যিকার অর্থে জিহাদ করেছেন, যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও বিজয় লাভ করেছে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি একক অদ্বিতীয় তাঁর কোন অংশীদার নেই। যিনি আদি-অন্ত সমগ্র সৃষ্টিকুলের প্রভু। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের সরদার আমাদের মহান নবী আমাদের অভিভাবক হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয় বান্দা ও প্রিয় রাসূল। যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী, তাঁর উপর দরুদ-সালাম বর্ষিত হোক। তাঁর পবিত্র বংশধরগণ সম্মানিত সাহাবাগণ এবং নিষ্ঠার সাথে কিয়ামত অবধি তাঁর পদাঙ্ক অনুসারীদের প্রতি করুণাধারা বর্ষিত হোক।
হে মানব মন্ডলী!
আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করুন। তাঁর প্রজ্ঞাপূর্ণ হিকমত ও সৃষ্টিতত্ত্বের বিধি লিপির নিরিখে তাঁর মহামহিম ক্ষমতা অনুধাবন করুন। আল্লাহ তা’য়ালা সমগ্র সৃষ্টিকুলের রাসূল হিসেবে তাঁর প্রিয় নবীকে মনোনীত করেছেন। সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য তাঁর দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন। সম্মানিত নবীদের পর তাঁর সাহাবাদেরকে উত্তম মানুষ হিসেবে মনোনীত করেছেন।
আল-কুরআনের আলোকে সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা: সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআন মাজীদে এরশাদ করেছেন, “এবং মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ সমস্ত উম্মতের মাঝে ঈমান গ্রহণের ব্যাপারে যাঁরা অগ্রবর্তি এবং পরবর্তীতে একান্ত নিষ্ঠার সাথে তাঁদের অনুসরণ করেছেন এ সমস্ত লোকদের উপর আল্লাহ তা’য়ালা সন্তুষ্ট এবং তাঁরাও আল্লাহ তা’য়ালার উপর সন্তুষ্ট।” (সূরা: তাওবা, আয়াত: ১০০)
সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহ তা’য়ালার নির্ধারিত সীমারেখার হেফাজতকারী তাঁদের অবস্থা মন্দ স্বভাব মুক্ত এবং প্রশংসনীয় গুণে গুণান্বিত। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “তাঁরা তাওবাকারী, ইবাদতকারী, আল্লাহর প্রশংসাকারী, জেহাদকারী, রুকু ও সিজদাকারী, সৎকাজে আদেশকারী, অসৎ কাজের নিষেধকারী এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী।”
সাহাবীর সংজ্ঞা ও প্রাসঙ্গিক কথা: সাহাবী অর্থ সঙ্গী, সাথী, আমিরুল মুমেনীন ফীল হাদীস, হাদীস শাস্ত্রের মহান ইমাম, হযরত ইমাম বোখারী (র.) এর বর্ণনা মতে মুসলমানদের মধ্যে যিনি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য পেয়েছেন অথবা নবীজির দর্শন লাভ করেছেন তিনি সাহাবী। (কাওয়ায়েদুল ফিক্হ, পৃ: ৩৪৬)
বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার হযরত আল্লামা শায়খ ইবনে হাজর আসকালানী (র.)’র বর্ণনা মতে যিনি ঈমান অবস্থায় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং মুমীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তাকেই সাহাবী বলা হয়। (বুখারী শরীফ, খন্ড: ১, পৃ: ৫১৫)
সাহাবীর সংখ্যা মতান্তরে এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার বা এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। সংখ্যা নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও লক্ষাধিক হওয়ার ব্যাপারে সকলে ঐকমত্য পোষণ করেন। সম্মানিত নবী রাসূলগণের পরেই সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা। তাঁর প্রিয় নবীর সাহচর্য অবলম্বন, নবীজির কথা কাজ অনুমোদন ও সমর্থনের যথাযথ মূল্যায়নে তাঁরা অগ্রগামী। তাঁদের জীবনাচার প্রিয় নবীর জীবনাদর্শের মডেলে পরিচালিত। নবীজির নির্দেশের আলোকে তাঁদের সামগ্রিক জীবন নিয়ন্ত্রিত। তাঁরা সর্বকালে সর্বযুগে সব মানুষের উত্তম আদর্শ। পথভ্রষ্ট, দিশেহারা দিকভ্রম মানুষের জন্য তাঁদের জীবনাদর্শ চলার পাথের পাথেয়। অসংখ্য গুণাবলীর সমাহার ঘটেছে, তাঁদের পবিত্র জীবনে। সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন জ্ঞানে-গুণে, শৌর্যে-বীর্যে, মানবতার মহত্বে, উদারতায় ও বদান্যতায়, সততা, বিশ্বস্ততা, সহমর্মিতা ও ভাতৃত্বের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপনে তাঁরা অনন্য। তাঁদের স্মরণ ও মূল্যায়ন কৃতজ্ঞতার পরিচায়ক। পক্ষান্তরে তাদের প্রতি কটূক্তি, অপমান, অসম্মান, অশ্রদ্ধা, অবমাননা, সমালোচনা, অকৃতজ্ঞতা ও কুফরীর নামান্তর। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন মু’মিনের ঈমানের দাবী। তাঁরা সত্যের মাপকাঠি হেদায়তের দিশারী।
হাদীস শরীফের আলোকে সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা: আল্লাহর প্রিয় রাসূলের সাহচর্যের কারণে সাহাবায়ে কেরামের প্রত্যেকে অতুলনীয় শান-মান ও মর্যাদার অধিকারী। নবীজির নুরানী সাক্ষাৎ ও ঈমানী দৃষ্টিতে নবীজিকে একনজর দেখার সৌভাগ্য অর্জনকারী আলোকিত মানুষগুলো সাহাবী নামে আখ্যায়িত তাদের মর্যাদা প্রসঙ্গে এরশাদ হয়েছে, হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’য়ালা আমার সাহাবীকে মনোনীত করেছেন বিশ্ববাসীর উপর। কেবল নবী রাসূলগণ ব্যতীত, আমার সাহাবীগণ থেকে চারজনকে আমার জন্য মনোনীত করেছেন, তারা হলেন হযরত আবু বকর, (রা.), হযরত ওমর (রা.), হযরত ওসমান (রা.) ও হযরত আলী (রা.)। তাঁরা আমার শ্রেষ্ঠ সাহাবী। তবে আমার সকল সাহাবী উত্তম। সকল উম্মত থেকে আমার উম্মতকে মনোনীত করেছেন। (মসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, খন্ড:১, হাদীস নং : ২২৮)
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে নির্বাচিত করেছেন এবং আমার সহচার্যের জন্য সাহাবাদের নির্বাচন করেছন, তাঁদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে আমার ওযীর। কতিপয়কে আমার জামাতা ও শশুর নির্বাচন করেছেন। যারা তাঁদেরকে মন্দ বলবে, তাদের উপর আল্লাহর, ফিরিশতা ও মানবকুলের লানত নেমে আসবে। তাদের ফরজ ও নফল কোন আমলই কিয়ামতের দিন আল্লাহতা’য়ালা কবুল করবেন না। (আল-জামি, লি আহকামিল কুরআন, ইমাম কুরতুবী ৮ম খন্ড, পৃ: ১৯৬)
সাহাবীদেরকে ভালবাসা নবীজির প্রতি ভালবাসার নামান্তর: সাহাবীদের প্রতি ভালবাসার পুরস্কার ও তাদের প্রতি বিদ্বেষকারীদের ভয়াবহ পরিণতির কথা এ হাদীসে এরশাদ হয়েছে, “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার সাহাবাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। যে তাঁদেরকে ভালবাসেন সে আমার প্রতি ভালবাসার কারণেই তাদেরকে ভালবাসেন এবং যে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল সে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করার কারণেই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল। যে তাদেরকে কষ্ট দিল সে আমাকেই কষ্ট দিল যে আমাকে কষ্ট দিল সে আল্লহ তা’য়ালাকে কষ্ট দিল আর যে আল্লাহকে কষ্ট দিল, আল্লাহ তায়ালা অচিরেই তাকে পাকড়াও করবেন। ( তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং : ৫৬৩৭)
সাহাবায়ে কেরামের যুগ শ্রেষ্ঠ যুগ: হযরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যুগের লোকেরা (অর্থাৎ সাহাবীরা) তারপর যারা তাঁদের নিকটবর্তী অর্থাৎ তাবেঈন তারপর যারা তাঁদের নিকটবর্তী অর্থাৎ তবে তাবেঈন। (বোখারী শরীফ, হাদীস নং: ৩৩৮৯)
সাহাবায়ে কেরামের আমলের সাথে উম্মতের আমল তুলনা করা যাবে না: সাহাবায়ে কেরামের ঈমান, আমল, নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত, জিহাদ, নবী প্রেম, ইসলামের প্রতিটি বিধান পালন ও অনুসরণ এক অনন্য অসাধারণ মর্যাদায় অভিষিক্ত। তাঁদের কোনো আমলের সাথে উম্মতের আমলের তুলনা করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার সাহাবাদেরকে গালমন্দ করো না। তোমাদের কেউ যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ ব্যয় করো তবুও সে তাঁদের এক মুদ (প্রায় এক সের) বা তার অর্ধ পরিমাণও পৌছতে পারবেনা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং: ৫৬৩১)
সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনাকারীর উপর আল্লাহর লানত: সাহাবায়ে কেরামের সুমহান মর্যাদায় কলংক লেপনকারী, সমালোচনাকারী, তাঁদের পবিত্র জীবন ইতিহাসের বিপরীতে কুরুচিপূর্ণ ইতিহাস চর্চাকারী, তাঁদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণকারী মাত্রই অভিশপ্ত। ঘৃণিত, নিন্দিত, ইহকাল ও পরকালে চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত। এরশাদ হয়েছে, “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন তোমরা এমন লোক দেখবে, যারা আমার সাহাবাদের গালমন্দ করবে তখন তাদেরকে বলো তোমাদের অন্যায়ের উপর আল্লাহর লানত। (তিরমিযী শরীফ)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে আমার সাহাবীকে গালি দিল তার উপর আল্লাহর লানত, সকল ফিরিস্তারাজি ও মানবকুলের অভিসম্পাত। (তাবরানী শরীফ)
নবীদোহী ও সাহাবীদের সমালোচনাকারীর শাস্তি: হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কেউ যদি কোন নবীকে গালি দিল তাকে মৃত্যুদণ্ড দাও, আর যদি কেউ আমার কোন সাহাবীকে গালি দেয় তাকে বেত্রাঘাত কর। (আর বিয়াদুন নাদ্বরাহ ফী মানাকীবে আশারা, খণ্ড:১, পৃষ্ঠা: ২৪)
সকল সাহাবী ও তাবেঈনগণ জান্নাতী: উত্তম তিন যুগের সৌভাগ্যবান আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ যথাক্রমে সাহাবা, তাবেঈন ও তবে তাবেঈনগণ সকলে জান্নাতী হিসেবে প্রিয় রাসূলের শুভ সংবাদ রয়েছে। এরশাদ হয়েছে, “হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে মুসলমান আমাকে দেখেছে অথবা আমাকে দর্শনকারী সাহাবীকে দেখেছে জাহান্নামের আগুন তাঁকে কখনো স্পর্শ করবেনা।” (তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং: ৫৬৩৬)
হযরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার সাহাবীরা হলেন আকাশের নক্ষত্র সমতুল্য তোমাদের মধ্যে যে কেউ তাদেরকে অনুসরণ করবে সঠিক পথের দিশা পাবে। (রযীন, সূত্র-মিশকাত শরীফ, হাদীস নং: ৫৬৪০)
সাহাবায়ে কেরাম প্রসঙ্গে মুজতাহিদ ইমামগণের অভিমত: ইসলামী ফিক্হ শাস্ত্রের উদ্ভাবক ইমাম আযম আবু হানিফা (রা.) প্রণীত “ফিক্হ আকরব” কিতাবে উল্লেখ করেন আমরা সমষ্টিগতভাবে বা এককভাবে কোন অবস্থাতেই সাহাবায়ে কেরামের উত্তম ব্যতিরেকে মন্দ আলোচনা করতে পারি না। ইমাম তাহাভী (র.) প্রণীত “আকীদাতুত তাহাভী” কিতাবে বর্ণিত, হয়েছে যারা সাহাবাদের কুৎসা রটায় ও তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আমরা তাদের শত্রু মনে করি। আল্লামা নসফী (র.) “আল আকাইদুল নসফীয়্যাহ” কিতাবে বর্ণনা করেন, সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে উত্তম আলোচনা ব্যাতিরেকে মন্দ আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লামা কামাল উদ্দিন ইবনে হুমাম (র.) প্রণীত, “আল মুসামিরা” কিতাবে বর্ণনা করেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা হলো সকল সাহাবীর পবিত্রতা ও তাঁদের প্রত্যেকের ন্যায় পরায়ণতা, বর্ণনা করা, তাঁদের সমালোচনা থেকে বিরত থাকা। সর্বোতভাবে তাঁদের গুণগান ও প্রশংসা করা। আল্লাহতা’য়ালা আমাদেরকে সুপথ প্রাপ্ত মকবুল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আল্লাহর নিয়ামত প্রাপ্ত সম্মানিত নবীগণ, সিদ্দিকীন, শহীদান ও পুণ্যবান বান্দাদের অন্তভুক্ত করুন। আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে পবিত্র কুরআনের বরকত দান করুন। কুরআনের আয়াত ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ দ্বারা আমাদের নাজাত দান করুন। নিশ্চয়ই তিনি মহান দানশীল সৃষ্টি জগতের মালিক, পুণ্যময় অনুগ্রহশীল ও দয়ালু, মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা অনুধাবন করার তাওফিক নসীব করুন। আমীন
লেখক : খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।