অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এই গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা কম, কিন্তু সচেতনতা বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে দেড় গুণ বেশি জানেন। আবার ব্যক্তিগত আয় এবং পরিবার থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বেশি। অন্যদিকে, শুধুমাত্র পরিবারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করছেন এমন ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান সবচেয়ে কম।
গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক সমস্যাকে এবং ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিবেশ দূষণকে (শব্দ দূষণ, উৎকট দুর্গন্ধ ইত্যাদি) মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন। অন্যদিকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছাত্র-ছাত্রী মনে করেন মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী মানুষের ভাগ্য কিংবা কালো যাদু। ৪০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী মনে করেন আধুনিক মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মানসিক সমস্যার প্রতিকার করতে পারে। অন্যদিকে ৯০ শতাংশেরও অধিক শিক্ষার্থীর মতে পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি প্রদর্শন এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে।
গবেষণা | মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান নেই ৩৮% বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর
‘হেলিয়ন’ নামে আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা