রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সারা দেশেই কোরবানির মাংসের ছড়াছড়ি লেগে যায়। অনেকেই আন্দাজ না বুঝে একটু বেশি বেশিই খেতে চান মাংস। কিন্তু খাওয়ার পর অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন খুব দ্রুত। কারও কারও হাসপাতাল পর্যন্তও যেতে হয়। ভুগতে হয় অনেক দিন। তাতে খুশির ঈদটাই মাটি হয়ে যায়।

তাই ঈদুল আজহায় হাতের নাগালে গরুর মাংসের নানা স্বাদের রেসিপি থাকলেও খেতে হবে বুঝেশুনে। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নেমে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। কারণ, নিয়ম মেনে মাংস খেলে কোনও সমস্যা হবে না। সুস্থও থাকতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক সেই নিয়মগুলো।

১. মাংসের চেয়েও বেশি সমস্যাদায়ক চর্বি। মাংসে চর্বি থাকে বলেই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। কারণ চর্বি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই মাংস থেকে চর্বি আলদা করে নিতে হবে। রান্নার আগেও যতটা সম্ভব চর্বিমুক্ত মাংসটুকুই রান্না করতে হবে।

২. মাংস খাবেন ভালো কথা, কিন্তু ঝোল থেকে দূরে থাকুন। কারণ মাংস রান্নার পর মাংসের ঝোলে সব মেদবহনকারী উপাদান জমা হয়। ফলে কোরবানির মাংস বেশি বেশি খেলেও ঝোল খাওয়া পরিহার করতে হবে।

৩. তেল যত স্বাদ তত- এই তত্ত্বকে দূরে রাখুন। গরুর মাংস যতটা সম্ভব কম তেলে রান্না করে খেতে পারলেই ভালো। পুষ্টি বিশারদরাও তেমনটিই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদিও গরু কিংবা খাসির ভুনা রান্না করতে প্রচুর তেল দিতে হয়। তাই ভুনা জাতীয় মাংস কম খাওয়াই সুস্থ থাকার আরেকটি উপায়। সেক্ষেত্রে আপনি হালকা তেলে ভেজে নেয়া মাংস খেতে পারেন।

৪. গরু কিংবা খাসি- যে মাংসই হোক, রান্নার আগে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। প্রথমে মাংস গরম পানিতে চুবিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তাতে চর্বিও ধীরে ধীরে গলে যাবে। এর পর ছেঁকে নিন। তাতে চর্বি ও মাংস আদাল হয়ে যাবে। তখন শুধু পিউর মাংসটুকুই রান্না করুন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here