আলোকিত ডেক্স : বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বল হাতে পাচ্ছেন উইকেট। সাকিব মাঠে নামা মানেই রেকর্ড, নিত্যনুতন ইতিহাস। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চার ম্যাচ খেলে দুইটি সেঞ্চুরি ও দুইটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। সাকিবই এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সেরা রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান। চার ম্যাচে ১২৮.০০ গড়ে তিনি করেছেন ৩৮৪ রান।

আজ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। সে ম্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যে ভীত হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। গত দুইদিন ধরে অনুশীলনে ব্যাট-বলে সাকিবকে আটকানোর রণকৌশল একেছেন অজি কোচ জ্যাস্টিন লাঙ্গার।
তবে এসবে মাথাব্যাথা নেই সাকিবের। সতীর্থদের নিয়ে মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। রেকর্ড নিয়ে ভাবেন না সাকিব। তারও মনেপ্রানে শুধু বাংলাদেশের। তবে টাইগারদের জয়ের সাথে সাথে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়েন সাকিব। এ বিশ্বকাপেই তিনি উঠতে পাড়েন আরেকটি প্রথমে।

গড়তে পারে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের পিছনে ফেলে নতুন ইতিহাস। বিশ্বকাপে আর মাত্র ৭৬ রান ও ২টি উইকেট নিতে পারলেই সাকিব উঠে যাবেন আরেকটি নতুন উচ্চতায়। আর সেটা পারলেই বিশ্বের প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে ১০০০ রান ও ৩০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাবেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ন্যূনতম ৯০০ রানের সঙ্গে ২৫ উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র তিনজন ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ, শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া ও সাকিব। এর মধ্যে প্রথম দুজন তো বেশ আগেই সাবেক।

তিনটি বিশ্বকাপে (১৯৮৭, ১৯৯২ ও ১৯৯৯) মোট ৩৩ ম্যাচ খেলে ৯৭৮ রানের সঙ্গে ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক ওয়াহ। জয়াসুরিয়া খেলেছেন পাঁচটি (১৯৯২-২০০৭) বিশ্বকাপে ৩৮ ম্যাচ। ১১৬৫ রানে পাশাপাশি বাঁ হাতি স্পিনে পেয়েছেন ২৭ উইকেট। আর সাকিব (২০০৭-২০১৯) এ পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ খেলেছে ২৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রান করেছেন মোট ৯২৪। বশ্বকাপের ইতিহাসে ন্যূনতম ১০০০ রানের সঙ্গে ৩০ উইকেট নিতে পারেনি কোনো ক্রিকেটারই। যে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হয়তোবা গড়ে ফেলবেন এ রেকর্ড।
সাকিবের সামনেও রয়েছে নতুন আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি। নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজের ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যদি ৫০ রান অতিক্রম করতে পারেন তাহলে তিনিই হবেন টানা ছয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তামিম ইকবালের রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি। ইতোমধ্যে সাকিব বিশ্বকাপের সর্বশেষ চার ম্যাচে অংশ নিয়ে পরপর চারবার ৫০ রানের কোটা অতিক্রম করেছেন। এরমধ্যে সেঞ্চুরি রয়েছে দুটি। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধশতক পার করেন তিনি। বিশ্বকাপের শেষ দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছেন যথাক্রমে ১২১ ও অপরাজিত ১২৪ রান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here