এক বৃদ্ধার দুইটি বড় পাত্র ছিল, যা দিয়ে তিনি নদী থেকে পানি আনতেন।
এর মধ্যে একটি পাত্রে ছোট একটি ছিদ্র ছিল, কিন্তু অন্য পাত্রটি ছিল নিখুঁত। নদী থেকে পানি আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি পানিতে ভর্তি থাকত, অপরটি অর্ধেক খালি হয়ে যেত।
পুরো দুই বছর ধরে, এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র পানি নিয়ে ঘরে ঢুকতেন। নিখুঁত পাত্রটি তার পূর্ণতার জন্য গর্বিত ছিল, কিন্তু বেচারা ছিদ্রওলা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে গভীর দুঃখ ছিল যে সে কখনোই সম্পূর্ণ পানি বহন করতে পারে না।
একদিন খুঁতযুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল, “আমি সত্যিই নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারিনি। আমার ভেতরের ওই ছিদ্র আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না।
বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, “আচ্ছা, তুমি কি খেয়াল করেছ, তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয়, সেই রাস্তার পাশে কত ফুলগাছের সারি! আমি তোমার ত্রুটি জানি, সেজন্য যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। সেই বীজ থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পাশের ওই ফুলগুলিকে নিজের অজান্তেই প্রতিদিন যখন আমরা ফিরে আসি, তুমি পানি দাও! আর আমি ওখান থেকে ফুল তুলে বিক্রি করি, যা আমাকে জীবন ধারণ করতে সাহায্য করে। তুমি যদি খুঁতহীন হতে তাহলে ওই ফুলগুলো ফুটত না, আর আমাকেও হয়ত না খেয়ে দিনযাপন করতে হতো!
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here