আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নোভেল করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ হাজার ৩শ। বিশ্বের ৮৫টি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত ও মৃত উভয় হিসেবেই সিংহভাগ চীনের নাগরিক। খবর সিএনএনের।
ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১২জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ১১ জনই ওয়াশিংটন ও অন্যজন ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বাসিন্দা। এছাড়া যুক্তরাজ্যেও করোনাভাইরাসে প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজার। জাপান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আগতদের জন্য কোয়ারান্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। তবে কোরিয়া এই পদক্ষেপ ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মন্তব্য করেছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শুক্রবার জানিয়েছে, নতুন করে ১৪৩ জন দেশটিকে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩০ জন। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩০৪২, আক্রান্ত ৮০,৫৫২।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীন প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনাভাইরাসের কথা জানায়। এর পরপরই দেশটিতে সতর্কতা অবলম্বন শুরু করা হয়। হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায় এই করোনাভাইরাস। ভাইরাসের কারণে রোগীর নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, বাজারে বিক্রির জন্য রাখা সাপ, বাদুর বা অন্যান্য কোনো প্রাণীর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। যদিও কোন প্রাণী এই ভাইরাসের জন্য দায়ী তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ভাইরাসটি হয়ত ইতোমধ্যে মিউটেট করেছে অর্থাৎ নিজে থেকেই জিনগত গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিয়েছে। তাই এটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রাণীদের জন্য করোনাভাইরাস তেমন ভয়াবহ নয় তবে মানবদেহে প্রবেশ করে এটি প্রাণহানি ঘটায়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম এবং বয়স্করা প্রধানত করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।