বোয়ালখালীর প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন নিদর্শন, ঐতিহ্যবাহী আহলা দরবার শরীফ শাহী জামে মসজিদ উন্নয়নে শাহসূফী সৈয়দ আবরার ইবনে সেহাব (মা,) বিশেষ উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন।
এদেশের আধ্যাত্মিক জ্ঞান চর্চার এক অনন্য লীলাভূমি চট্টগ্রামের আহলা দরবার শরীফ। উপমহাদেশে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারে সব চেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন আউলিয়া কেরামগণ। আউলিয়া কেরামগণের মাধ্যমেই উপমহাদেশে ইসলামের ব্যাপক প্রচার প্রসার ঘটেছে। ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইসলামের বাণী প্রাচারের উদ্দেশ্যে আওলাদে রাসূল (দ) হযরত শেখ মোহাম্মদ গৌরী সাহেব ক্বেবলা (রহঃ) সূদূর বাগদাদের গৌর রাজ্য হতে এসে চট্টগ্রাম আহলা দরবার শরীফে অবস্থান করেন এবং মানুষকে ইসলামের শান্তির বানী পৌঁছিয়ে দিয়ে মানুষকে ইসলামের দিকে ধাবিত করতে থাকেন।ঠিক সেই সময় মানুষকে আল্লাহর ইবাদতের দিকে ধাবিত করার লক্ষ্যে আহলা দরবার শরীফে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন,যেই মসজিদ আহলা দরবার শরীফ শাহী জামে মসজিদ নামে পরিচিত।কেউ কেউ এই মসজিদ কে গায়েবী মসজিদ বলেও সম্বোধন করেন।
প্রায় ৫০০ বছর আগে স্থাপিত গম্বুজ সম্বলিত এই মূল মসজিদের আয়তন ছোট থাকলে ও কালের পরিবর্তনে অগণিত মুসল্লীদের ইবদাতের জন্য মূল মসজিদ ঠিক রেখে এই মসজিদ সংস্কার করা হয়েছে।
সর্বপ্রথম আহলা দরবার শরীফের অন্যতম অলীয়ে কামেল, মোনাজেরে আহলে সুন্নত আল্লামা শাহসূফী সৈয়দ আবু জাফর মোহাম্মদ সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) জাহেরী জীবনে এই মসজিদের পূর্ব পাশে বর্ধিত করেন।
কিন্তু বর্তমানে এই মসজিদে মুসল্লীদের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজ, শবে বরাত, শবে ক্বদরসহ বিশেষ দিবসগুলোতে এই মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ আদায় করতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন রাহবারে ত্বরীকত শাহসূফী সৈয়দ আবরার ইবনে সেহাব আল-ক্বাদেরী,আল-চিশতী সাহেব ক্বেবলা (ম.)’র যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং বলিষ্ঠ পরিচালনায় আঞ্জুমানে আসাদীয়া নূরীয়া সেহাবীয়ার মাধ্যমে এই মসজিদের তিন তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এখন শুধুমাত্র সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ বাকী রয়েছে।
উল্লেখ্য যে,বর্তমানে আহলা দরবার শরীফের অগনিত ভক্ত আশেকগন সহ অসংখ্য অগনিত সুন্নীপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার জুমার নামজা সহ বিশেষ তাৎপর্য পূর্ণ দিনে নামাজ আদায়ের জন্য এই মসজিদে ভীড় জমায়।