অনলাইন ডেস্ক : আজ ২৯ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে কঠিন একটা দিন হতে যাচ্ছে। ক’দিন আগে ক্রিকেটারদের ১১ ও পরে ২ দফা বেড়ে ১৩ দফা দাবির সামনে থেকে নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

যে কারণে শঙ্কায় ছিল ভারত সফর। শেষ পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের স্বার্থ চিন্তা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্রিকেটারদের দাবি মানার আশ্বাস দেয় এবং মাঠে ফেরে খেলোয়াড়েরা। শুরু হয় ভারত সফরের জন্য অনুশীলন আর জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডের খেলাও। সবই ঠিকঠাক কিন্তু কোথায় যেন গরমিল। দুই দিনের অনুশীলনে একদিন মাঠে এসেছিলেন দলের অধিনায়ক সাকিব। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয়ে গেলেও একটিও খেলেননি তিনি। এতেই গুঞ্জন ওঠে, সাকিব বুঝি যাচ্ছেন না ভারত সফরে! সাকিব ভারত সফরে না যেতেই পারেন ব্যক্তিগত কারণে, যেমন এই সফরে যাচ্ছে না সতীর্থ তামিম ইকবালও। কিন্তু ঘটনা মোড় নিয়েছে অন্যদিকে। আইসিসির নির্দেশে অনুশীলনে আসেননি সাকিব! খেলতে পারবেন না ভারতের বিপক্ষেও।

তথ্যমতে, গত দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানিয়ে গোপন করেন তিনি। যা আইসিসির এন্টি-করাপশান ইউনিট (আকসু) ধারা অনুযায়ী ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৪, ২.৪.৫ ও ২.৪.৬ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ছয় মাস আর সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে আইসিসি। সাকিব আকসুর জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করায় ১৮ মাস শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে আপাতত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আইসিসি

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here