করোনাভাইরাসের সতর্কতার অংশ হিসেবে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি বলেন, ছুটি থাকাকালীন এই সময়টিতে শিক্ষার্থীরা যেন বাড়িতেই থাকেন সেটি নিশ্চিত করতে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া সব কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা মানে এই নয় যে তারা সর্বত্র ঘুরে বেড়াবে, কোচিংয়ে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না হয়। এটাকে হালাকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”
এর আগে করোনাভাইরাসের সতর্কতার অংশ হিসেবে দশ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
করোনাভাইরাস নিয়ে সব অনুষদের ডিন, সব বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক, মেডিকেল কর্মকর্তা ও অন্যদের সাথে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১৮ই মার্চ বুধবার থেকে শুরু হয়ে ২৮শে মার্চ পর্যন্ত টানা ১০ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ক্লাস ও পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে তা কমাতেই বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সময়ে দেয়া পরীক্ষার তারিখগুলো পুনর্বিন্যাস করার কথা জানানো হয়।
এছাড়া আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল সব ধরণের খেলাধুলা ও কর্মসূচী বাতিল করা হয়েছে।
এই বন্ধের সময়টি গ্রীষ্মকালীন ছুটির সাথে সমন্বয় করা হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে কোন ধরণের প্রভাব না পড়ে।
এ বিষয়ে ক্যালেন্ডার পুনর্বিন্যাস করার কথাও জানান তিনি।
এর আগে রবিবার করোনাভাইরাস সতর্কতার অংশ হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ১৭ মার্চ সাধারণ ছুটি। ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হবে। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এলেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব।