নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ ঘণ্টা তান্ডব চালানোর পর সোমবার দুপুরে পাগলা মহিষটিকে বধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বনবিভাগের রেসকিউ টিম ট্রাঙ্কুলাইজ গান (চেতনা নাশক ওষুধ) ব্যবহার করে দুপুর ২টার দিকে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর মহিষটিকে জবাই করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার বিকেলে বোয়ালখালী পৌরসভার গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় মহিষটি সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসন মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে।
এসময় মহিষের হামলায় বোয়ালখালী পৌরসভা বহদ্দারপাড়া ইউছুপ তালুকদার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে মো. ইসমাইল (৫০) নিহত হন। এছাড়া মধ্যম শাকপুরা এলাকার আবদুল হাকিমের স্ত্রী গুলছরা বেগম (৮৫), পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার সৈয়দ আহমদের স্ত্রী খুশি বেগম (৪৫), মনজুর আহমদের ছেলে নুরুল আবচার (৪০) ও পূর্ব গোমদন্ডী এলাকার আহমদ কবিরের ছেলে আবদুর রহিমসহ (২২) অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হন। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অবশেষে দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর সোমবার দুপুরে বনবিভাগের রেসকিউ টিম ট্রাঙ্কুলাইজ গান (চেতনা নাশক ওষুধ) ব্যবহার করে দুপুর ২টার দিকে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর মহিষটিকে জবাই করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার পর জবাই করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। মহিষের হামলায় নিহত ইসমাইলের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।