হযরত শাহসুফি মাজহারুল ইসলাম ফকির মাওলানা প্রকাশ ইসলাম মওলা (রহ.)
মাওলানা ফরিদ জামী
প্রকাশ- ১১-১২-২০২০
আহলা দরবার শরীফের আধ্যত্মিক শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবে জমান কুতুবল ইরশাদ জনাব কাজী আছাদ আলী (ক.) কেবলার দুনিয়া থেকে হিজরতের পর শেখ মোহাম্মদ গৌরী (রহ.)’র এই তরিকতের সোপানের কান্ডারী হিসেবে এই ধরাধামে ‘জনাব কেবলা’র বড় সাহেবজাদা ফানাফিল্লা বাকাবিল্লাহ হযরত মাওলানা শাহসুফি মাজহারুল ইসলাম ফকির মাওলানা প্রকাশ ইসলাম মওলা (রহ.) ১৯০৮ সালের ১৬ মে বৃহস্পতিবার সুবহে সাদিক- এর সময় পৃথিবীতে শুভাগমন করেন।
তিনি তাঁর পবিত্র শৈশব অতিবাহিত করেন জনাব কেবলার তত্ত্বাবধানে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করেন জনাব কেবলার (ক.) এর কাছে। জনাব কেবলা তার উচ্ছাশার জন্য প্রত্যাশিত ছিলেন। তিনি জানতেন তাঁর এই সাহেবজাদা খোদা প্রেমের নিগূঢ় রস আহরন করতে পারবেন। তাই জন্মের সময় তাঁর বিবি সাহেবানসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহিকে ভবিষ্যৎবাণী করে বলেন, ‘আমার এই সন্তান, দুনিয়ার চেয়ে আখিরাতের প্রতি অধিক প্রেম প্রদর্শণ করবে এবং মারেফতের সর্বোচ্চ শিখরে উপনীত হয়ে আম-খাস সকলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের অধিকারী হবেন। তাঁর এই সিলসিলা কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ।’
এরশাদ ইচ্ছে ‘ অতঃপর প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলো না, তিনি কেবল তাই বলেন যা শুধু মাত্র তাঁর প্রতি পালকের পক্ষ থেকে প্রত্যাদেশ হয়। (সূরা আনআম ৩-৪)
তিনি কৈশোরেই কুরআন হাদিস তথা ইসলামে শরীয়ত পুরোপুরি ভাবে হৃদয়জ্ঞান করতে থাকেন। এক সময় তাতে দক্ষতা এবং সাফল্যের ছাপ রাখেন। শৈশবে পাওয়া পিতার কাছে তাসাউফের সূর তাঁর মনের মনিকৌঠাই রেখেছেন। তার এই সূরকে পরিচর্চার জন্য স্থীর করেন। তিনি তাঁর পীতৃতব্য মুরশিদ মাইজভান্ডারী শরাফতের অন্যতম আধ্যত্মিক প্রাণপুরুষ কুতুবুল আকতাব, ইউসুফে সানি ফানাফিল্লা বাকাবিল্লা হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান প্রকাশ বাবাভান্ডারী (ক.) কেবলা কাবার দরবারে উপস্থিত হন। অতঃপর তিনি তাকে তাঁর মনোনীত খলিফা হিসেবে বায়াত করান এবং ‘ফকির মওলানা’ উপাধি দেন।
এরশাদ হচ্ছে-‘ অর্থ্যাৎ আপনার প্রত্যেক আসন্ন অবস্থা পরের অবস্থার চেয়ে উত্তম। [আপনার জন্য রয়েছে অগ্রগতি অগ্রন্নতি]’ (সূরা দোহা :৪)
তাঁর একগ্রতা ও নিষ্টা দেখে হযরত বাবাভা-ারী কেবলা (ক.)’র নৈকট্য লাভ করতে সতেষ্ঠ হন। উত্তরোত্তর তিনি তাসাউফের বিভিন্ন স্তর পার হতে লাগলেন এবং এবাদত বন্দেগী রেয়াজতের মাধ্যমে দিনানিপাত করতে লাগলেন।
এরশাদ হচ্ছে- ‘আপনি বলে দিন নিশ্চয় আমার নামায, আমার কুরবান, আমার জীবন, আমার মরণ সমগ্র জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য নিবেদিত। (সূরা আন আম: ১৬৩)
তিনি প্রায় চল্লিশ বৎসর যাবত স্বীয় মুরশিদ হযরত বাবাভান্ডারী কেবলা (ক.)’র খেদমতে ব্রত থাকেন। যখন তার মুর্শিদ হযরত বাবাভা-ারী কেবলা (ক.) দুনিয়া থেকে পর্দা নেন, তখন তিনি মুর্শিদ প্রেমের অনলশিখা বুকে নিয়ে গৃহ-সংসার ত্যাগ করে রিয়াজতের এক মূহুর্তে বনে-জঙ্গলে, দেশ-দেশান্তরে সফর করতে লাগলেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমন করেন। বিভিন্ন পবিত্র ও নির্জন স্থানে রেয়াজতে মগ্ন থকেন। এ সময় দুনিয়া বিমূখ আচরণ তাঁর মধ্যে স্থান পায় এবং মজজুবহালে বিভিন্ন কর্মকান্ডে করতে লাগলেন। এভাবে অভিসারে ১০বছর কাটালেন বিভিন্ন স্থানে।
এ সময় তাঁর নিকট অনিচ্ছাকৃত অনেক কারামাত প্রকাশ পায়। তন্মধ্যে প্রনিদানযোগ্য- প্রত্যক্ষদর্শি আবদুল ওয়াদুদ সাহেবের বর্ণনা (মরহুম): বার্মার রেংগুনের রাস্তার উপর একটি বিশাল ট্রাকের নীচে হঠাৎ শুয়ে পড়েন হযরত ইসলাম মওলা (রহ.)। চলন্ত ট্রাকটি তার উপর দিয়ে চলে যায়। আশে পাশের লোকজন তা দেখে বলে উঠে ‘ফকির মাওলানা’ বুঝি আর বেঁচে নেই। একটু পর সবাই হতবম্ভ হয়ে গেল। তিনি আল্লাহু আকবর বলে দাঁড়িয়ে গেলেন। উপস্থিত সবাই দেখল তাঁর শরীরে একটু আছও লাগালো না। সুস্থ ও স্বাবাভিক রইলেন।
এরশাদ হচ্ছে-‘নিশ্চয় আল্লাহু অন্তরের গোপন বিষয় এর সম্মন্ধে অবগত আছেন।’
মাঝে মাঝে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ধুমকেতুর মত নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতেন, দেখাতেন আলৌকিক ক্ষমতা। আবার হতেন মুহুর্তে অন্তঃহিত, কেউ চিনতে পারত কেউ আবার চিনত না।
দীঘদিন এভাবে কেটে যাবার পর ৪৫বছর বয়সে স্ব-গৃহে ঘিরে এসে বেলায়তের সিংহাসন অলংকৃত করে এই অভূতপূর্ব দীপ্তীমান মহাপুরুষ রূহানী শিক্ষা ও দীক্ষা দানে হন নিয়োজিত। প্রতিদিন শত-শত মানুষ এসে ভীড় জমাতে লাগল তাঁর আস্তানা শরীফে। আলেম-জাহেল, নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ, হিন্দ-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকল শ্রেণীর সকল জাতের মানুষ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন উদেশ্যে পরম আগ্রহে সমবেত হতে লাগল। তাঁর হুজরার সামনে অনুসারীরা সমতেব হতেন কিন্তু কোন শব্দ ছাড়া তিনি তাদের মকসুদ বুঝে নিতেন। তাঁর নয়ন পাকের ইশারায় পেতে লাগল স্ব-স্ব সমাধান। জিজ্ঞাসার জবাব।
তাঁর এই মগ্নতা মাঝে-মাঝে জজবার হালতে আকৃষ্ট হতেন। তাঁর আচার-আচরণ এর মাঝে প্রকৃত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তিনি প্রায় সময় জিকির, মোরাকাবাহ, মোশাহেদা-ই মগ্ন থাকতেন। শুধুমাত্র ওজুর জন্য বের হতেন।
ইরশাদ হচ্ছে-‘ রঙ তো আল্লাহরই, তাঁর চেয়ে সুন্দরতর কার রঙ হতে পারে? আমরা তারই ইবাদত করি। (সূরা বাকারাহ: ১২৮)
পরবতীর্তে তাঁর কাছে আসা বক্তবৃন্দগণ দাঁড়িয়ে প্রতিক্ষা করতেন অথবা মানত করে প্রস্থান করতেন। হযরত হযরত ইসলাম মওলা (রহ.)’র এত রেয়াজত সাধনার কারন সমূহের অন্যতম হল ফয়েজের দ্বি-মূখী ধারা। প্রথমত- স্বীয় পিতা ‘হযরত জনাব কেবলা’ এবং স্বীয় মুর্শিদ ‘হযরত বাবাভা-ারী (ক.)’র উভয়ের আধ্যত্মিক আলোকচ্ছটাই তিনি নিজেই আধ্যত্মিক জগতের সূর্য হয়ে উঠেন। তিনি তাঁর সময়ের কুতুব-এর স্থান অলংকৃত করেন। যার বর্ণনা মাইজভা-ার দরবার শরীফের অন্যতম সাধক পুরুষ বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারী (ক.)’র সাথে তার অবিছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান।
বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.), হযরত ইসলাম মওলা (রহ.) কে মাইজভান্ডারী ত্বরিকার গোলাপ ফূল বলে আখ্যায়িত করেন। বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী প্রায় আহ্লা দরবারের আসতেন এবং হযরত ইসলাম মওলা’র হুজরাতে বসতেন এবং তিনি হযরত ইসলাম মওলা’র হুজরাকে সকল আউলিয়ার সম্মেলন কক্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারী (ক.) মুখ নিঃসৃত কালামটি ছিল ‘ইহা আউলিয়াগণের ইষ্টার্ণ হাউস’। [ ইহা গাউসুল আজমের কোর্ট, এখানে বেশি কথা বললে জিহ্বা কাটা যাই ] হযরত ইসলাম মওলা(রহ.)’র সাথে শাহানশাহ মাইজভান্ডারীর (ক.) এর সাথে আধ্যাত্মিক সর্ম্পক বিরাজমান ছিল।
এরশাদ হচ্ছে ঃ ‘অর্থ্যাৎ তার বন্ধুত্ব কেবল পরহেযগারগণই হতে পারে কিন্তু অধিকাংশই এই বাস্তবতা উপলদ্ধি করতে পারে না। (সূরা আনফাল- ৮:৩৪)
হযরত ইসলাম মওলা (রহ.)’র আলৌকিক কার্যকলাপ ছিল অস্তহীন রহস্যে ঘেরা। কখনো গুরু গম্ভীর ধ্যান মগ্ন অবস্থায় উপবিষ্ঠ, কখন বা দূর দিগন্ত লক্ষ্যে করে মধুর ভাষায় অনর্গল তকবীর তানে রত। এমন কি রাত, দিন, শীত, গ্রীষ্ম একইভাবে কখনো জিকিরে হালতের অবস্থা বিরাজমান থাকতেন। মুর্শিদ কেবলা আধ্যত্মিক সংগীত তথা ছেমার প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন সর্বদা নিজে কালাম ফরমাতেন (হামদ, নাতে রসূল, কাওয়ালী) উর্দু-ফার্সী ইত্যাদি ভাষায়। তিনি কখনো কখনো হালত অবস্থায় নিজের পায়ের সাহায্যে হারামোনিয়াম বাজাতেন। এভাবে তিনি রেয়াজতকালে গভীর রাতে ছেমা শুনতেন। অধিকাংশ সময় নিজেও আল্লাহ প্রেমে আপ্লুত হয়ে সন্তান সৈয়দ এমদাদ মওলাকে (যখন তাঁর বয়স মাত্র ৮বছর) সেই থেকে নেক ছোহবতে নিয়োজিত রাখেতেন। এমনকি প্রতি মধ্যরাতে ইসলাম মওলা আধ্যত্মিক রেওয়াজ তথা ছেমায় নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় এমদাদ মওলাকে সে রিয়াজতের সঙ্গী বানিয়ে নেন এবং নিজে স্বয়ং কালাম করেন-
‘হে দফ (ঢোল) বাজানে ওয়ালা এমদাদ উঠ যাও
দফ (ঢোল) বাজানে কি ওয়াক্ত হো গেয়া’’
এদিন থেকে প্রতিরাত তথা রাত ১টা হতে সুবেহ সাদিক-এর পূর্ব পর্যন্ত হযরত ইসলাম মওলা’র সাথে ছেমা তথা শে’র পাঠ করতেন। হযরত এমদাদ মওলা দফ (ঢোল) বাজাতেন। সে থেকে ব-তাহারত প্রতি রাতে স্বীয় মুরশিদ তথা প্রিয় পিতার দুই যুগ ধরে ফয়েজ এবং তাসাউফের প্রথম স্তর ভ্রমন করেন।
তারই ধারবাহিকতায় হযরত এমদাদ মওলাকে বায়াত করিয়ে ‘জনাব’ এর ত্বরিকতের ঝান্ডার আঞ্জাম দেয়ার হেকমত দান করেন। হযরত ইসলাম মওলা দুনিয়া থেকে পর্দা নেয়ার পূর্বে (১৯৮২ সালে) হযরত এমদাদ মওলা সহ ঢাকায় সফররত অবস্থায় ধানমন্ডি ও টঙ্গি খান্কা শরীফে মাহফিলে ছদারত করতেন এবং সকল মাহফিলে খাদেম এবং ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে হযরত এমদাদ মওলাকে ত্বরিকতের আঞ্জাম দেয়ার দায়িত্বভার অর্পন করেন।
১৯৮২ সালে হযরত ইসলাম মওলা অসুস্থ থাকা অবস্থায় ক্যন্টনম্যন্ট হসপিটালে চিকিৎসারত থাকাকালীন মাইজভা-ারী দর্শনের প্রবাদ পুরুষ আওলাদে গাউসুল আজম মাইজভা-ারী বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারী (ক.) কেবলা তাঁকে দেখতে যান এবং সেখান থেকে সোজা আহলা দরবার প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন। তখন হযরত ইসলাম মওলা’র আওলাদে পাকগণ পিতার আশু রোগমুক্তির কামনার আরজ করলে- শাহানশাহ মাইজভা-ারী বলেন, অতি শীঘ্রই আপনাদের পিতা মহান প্রেমময় সত্বার সাথে দিদারে লিপ্ত হবেন। এসময় তিনি হযরত ইসলাম মওলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকলকে দিনক্ষণ বলে দেন এবং হাসপাতাল থেকে পূণ্যভুমি আহলাতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। সে নির্দেশ মোতাবেক আওলাদেপাকগণ যথাসময়ে ২৪ অগ্রহায়ন বহদ্দারহাট খান্কা শরীফে রাখেন। খানকা শরীফ থেকে ২৮অগ্রাহায়ন দরবার প্রাঙ্গনে আনা হয়। হযরত ইসলাম মওলা সর্বপ্রথম দরবার প্রাঙ্গনে নেমে ‘জনাব কেবল’ার রওজা তাজিম করে আপন হুজরাতে অবস্থান নেন। আর এই পূর্ণতা প্রাপ্তিতে সমাপ্ত হলো তাঁর পবিত্র কর্তব্য। সময় হলো মহামিলনের অভিসার যাত্রার। ২৯ অগ্রাহায়ন ইন্তেকালের পূর্ব মুহুর্তে তাঁর সকল আওলাদে পাকগণ সমবেত করেন, কলেমা দরুদ পাঠের মাধ্যমে তিনি ১৯৮২ সালে ১৫ ডিসেম্বর ২৯ অগ্রাহায়ন বুধবার পহেলা রবিউল আউয়াল দুপুর ২.৫০ মিনিটে দুনিয়া থেকে হিজরত করেন।
হযরত ইসলাম মওলা (ক.) চার পুত্র সন্তান ও পাঁচ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রয়েছে যাদেরকে ইসলামের মানবতার পাশাপাশি তাসাউফের দীক্ষা দান করেন। তাঁর এই তাসাউফের ধারবাহিক কার্যক্রম তাঁর প্রতিষ্ঠিত মসনদ পরিচালনা এবং পরিবর্ধন করার দায়িত্ব তাঁর সুযোগ্য পুত্র রাহনুমায়ে শরীয়ত, পীরে ত্বরিকত হযরত শাহসুফি এমদাদুল ইসলাম (ম.) হাতে ন্যস্ত করে যান এবং হযরত ইসলাম মওলা (রহ.) প্রতিষ্ঠিত তাসাউফের এ মসনদের খিদমতে নিরলসভাবে প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর মুরশিদ কেবলার ছদারতে মহাআঞ্জামের সাথে ওরশ সম্পন্ন করা হয়।
কারামত
একদা হযরত ইসলাম মওলা তাজ্জাল্লী হালতে স্বীয় হুজুরায় অবস্থানরত অবস্থায়- দৌলতপুর নিবাসী জৈনক আবুল কাসেম দরবার প্রাঙ্গনে এসে হযরত ইসলাম মওলা’র সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং নিজ অসুস্থ লেংড়া পা সুস্থ করে দেয়ার আরজ জানান। তৎক্ষনাত হযরত ইসলাম মওলা তাকে নিজের দিকে তাওয়াজ্জু দেয়ার হুকুম দেন। অতঃপর লোকটি হযরত ইসলাম মওলা’র চোখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পর হযরত ইসলাম মওলা জালালী হালতে লোকটিকে দাঁড়াতে বললেন এবং উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে বলেন এখান থেকে বেড়িয়ে যাও। তখন লোকটি ভয় পেয়ে দৌড় দিলেন। পথিমধ্যে সে বুঝতে পারলো তাঁর লেংড়া পা’টি ভাল হয়ে গেল এবং সে ফিরে এসে হযরত ইসলাম মওলা’র নিকট শোকরিয়া আদায় করলেন।
আরো পড়ুনঃ
আহলা দরবার শরীফ এর ইতিহাস ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা প্রতিষ্ঠা
বোয়ালখালীতেই হযরত গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র সাতজন খলিফা