অনলাইন

|  ০১ জুলাই ২০১৯,
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার তিন বছর আজ। নৃশংস হামলায় মারা যান পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশিসহ মোট ২১ জন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। নিম্ন আদালতে মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। এ বছরই যার রায় হতে পারে বলে আশা আইনজীবীদের।ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলাটি হয় ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই। তখন ছিল রমজান মাস। মসজিদে মসজিদে চলছিল তারাবিহ নামাজ। এর সুযোগ নিয়ে কয়েকজন অস্ত্রধারী ঢুকে পড়ে রেস্তোরাঁয়। শুরু করে এলোপাতাড়ি গুলি। জিম্মি করে বিদেশি নাগরিকসহ ৩৫ জনকে।খবর পেয়ে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা রেস্তোরাঁর গেটের দিকে এগিয়ে গেলে গ্রেনেড ছোড়া হয়। আহত হন প্রায় ৫০জন পুলিশ।  মারা যান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারি কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ।এরপর পুরো এলাকা ঘেরাও করে রাখে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি। ছুটে আসে সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট।  পরদিন ভোরে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি, সেনা ও নৌ-বাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। ঘণ্টাব্যাপী অভিযান শেষে উদ্ধার করা হয় একজন জাপানিসহ ১৩ জিম্মিকে।বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি করা ঘটনায় জঙ্গিরা ওই রাতে হত্যা করে ২০ জনকে। যাদের নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় নাগরিক।কমান্ডো অভিযানে পাঁচ হামলাকারীও প্রাণ হারায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরো একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় যাকে পরবর্তীতে রেস্টুরেন্টের কর্মচারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ঘটনার দুই বছর পর, গত বছরের ২৩ জুলাই  মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।  এরমধ্যে মামলার প্রায় ১০০ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এ বছরের মধ্যে মামলার বিচারকাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা।ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ বেশ কয়েক অভিযুক্ত নিহত হওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। বর্তমানে জীবিত আট আসামির বিচার চলছে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here