অনলাইন প্রতিবেদক : প্রকাশ: ১১/১/২০২

 

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
২০২০ সালে সড়ক, রেল, নৌপথে পাঁচ হাজার ৩৯৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সাত হাজার ৩১৭ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৯ হাজার ২১ জন আহত।

সংঘটিত দুর্ঘটনার মধ্যে চার হাজার ৮৯১টি হয়েছে সড়কে, যাতে নিহত হয়েছে ছয় হাজার ৬৮৬ জন। আর আট হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে।

একই সময় রেলপথে ৩২৩টি দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত ও ৭৯ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৮৩টি দুর্ঘটনায় ৩১৩ জন নিহত, ৩৪২ জন আহত ও ৩৭১ জন নিখোঁজ হয়েছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ২২০ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে দেখা গেছে বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করা হয়। মধ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতি, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার করা, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, ছোট যানবাহন বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।

এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশও করা হয়। এরমধ্যে সড়ক নিরাপত্তায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা, আইনের ত্রুটি চিহ্নিত করে সংস্কারপূর্বক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা, মহাসড়কের উভয় পাশে ১০ মিটার খালি রাখার বিধান বাস্তবায়ন করা, দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা, জেব্রাক্রসিং অঙ্কন করা, গণপরিবহন চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা, গাড়ির ফিটনেস ও চালদের লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা, দেশব্যাপী চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন গণপরিবহন নামানোর উদ্যোগ নেওয়া, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা, গণপরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের সব মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতিমাসে একদিন গণপরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উল্লেখযোগ্য।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here