এদেশের জন্য আজীবন জাতির পিতা কাজ করেছেন। বাবা, আমি গৃহস্থের ছেলে। জাতি স্বাধীনতা না পেলে আমি এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, সমস্ত শহীদানদের যেন বেহশত দান করেন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজকে সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন।

সমাজসেবায় পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমানকে এ পদক দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের রেখে যাওয়া দায়িত্ব-কর্তব্য যেন আমাদের প্রতিটি বাংলাদেশি মহব্বতের সঙ্গে হৃদয়ের গভীর থেকে দেশকে ভালোবেসে সরকারের সঙ্গে জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে একসঙ্গে যেন এদেশকে সোনার বাংলা নয়, হীরার বাংলা করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আখ্যা দিয়ে সুফি মিজানুর রহমান বলেন, তিনি মহীয়সী নারী। বিশ্ববরেণ্য নেতৃত্বের দাবিদার আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তার জন্য দোয়া করি, তাকে আল্লাহ দীর্ঘজীবন দান করুক। এ দেশকে যে উন্নতির শিখরে নেওয়ার প্রচেষ্টায় উনি ব্রত আছেন, সমস্ত পরিষদ নিয়ে দিনরাত কাজ করছেন।

নিজের চাওয়া-পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার দেশের কোনো সন্তান যেন না খেয়ে না থাকে। কোনো সন্তান যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়। কোনো মা-বোন যেন কাপড়ের অভাবে লজ্জা নিবারণে দ্বিধাবোধ না করে। কোনো মানুষ যেন চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ না করে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মতো নগণ্যকে মহাসম্মান দান করেছেন। আমার কাছে শোকর গুজারির ভাষা নেই। আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেন মানবতার সেবায় নিবেদিত হতে পারি। নিজেদের ভোগ বিলাস ত্যাগ করে আল্লাহর দেওয়া মানব সন্তানদের দুঃখের ভাগ লাঘব করতে নিবিষ্ট মনে কাজ করতে পারি।

স্বাধীনতার জন্য অনেক সন্তান বাবা হারিয়েছে, অনেক স্ত্রী তার প্রেমের ধন স্বামীকে হারিয়েছে, মা সন্তান হারিয়েছে। স্বাধীনতাকে যেন অর্থবহ করতে পারি। আমরা ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো এ সোনার বাংলাকে যেন হীরের বাংলা করতে পারি।

আমি পিএইচপি পরিবারের বিশেষ করে আমার সন্তানদের কাছে নিবেদন-জাতির এ ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারবো না। তোমাদের কাছে আমার নিবেদন, আমার এ অন্তিম সময়ে- জাতিকে তোমার কর্ম, চেতনা দিয়ে আশাহত করবে না। সমস্ত জাতির প্রতি সশ্রদ্ধ, বিনম্র ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। আমরা যেন জাতির সেবায় দেহ বিলীন করতে পারি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here